Bangla News Dunia, দীনেশ :- নিমিশা প্রিয়া। আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে চাকরি সূত্রে পাড়ি দিয়েছিলেন ইয়েমেনে (Yemen)। যদিও তাঁর প্রকৃত বাড়ি ছিল কেরলে (Kerala)। ইয়েমেনে তিনি নার্সের চাকরি করতেন। চাকরি সূত্রে নিমিশার আলাপ হয় ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাত আবদো মাধির সঙ্গে। শুরু হয় দু’জনের মধ্যে প্রেম। প্রেম পরিণত হয় বিয়েতে। বর্তমানে এই নিমিশাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে সে দেশের আদালত (Court)। নিমিশার ফাঁসির সাজা রদে হস্তক্ষেপ করল ভারত সরকার।
কী কারণে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে নিমিশার জন্য? ইয়েমেন পুলিশের মতে, ‘নিমিশা তাঁর স্বামীকে হত্যা করার পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দাম্পত্য কলহ থেকে এই খুন।’ তবে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে নিমিশা পালটা বলেন, আমার স্বামী আমার ওপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। এমনকি আমি যাতে ভারতে ফিরে আস্তে না পারি, তাঁর জন্য লুকিয়ে রাখত পাসপোর্টও। এই অসহ্য অত্যাচার থেকে বাঁচতেই বাধ্য হয়ে খুন করেছি।’ অন্যদিকে, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছর অনেকগুলি আন্তর্জাতিক সংগঠন লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের যুক্তি, নিমিশা বাধ্য হয়েই স্বামীকে খুন করেছেন। তাই তাঁর ফাঁসির সাজা রদ করা উচিত।
আরো পড়ুন :- ‘এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা’- কার উদ্দেশ্যে বার্তা সলমন খানের ?
এই বিষয়ে এবার হস্তক্ষেপ করল ভারত (India) সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘নিমিশার পরিবারের পাশে রয়েছে ইয়েমেনের ভারতীয় দূতাবাস। কিন্তু দিন কয়েক আগে ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তাই ভারত সরকারের তরফে আর্জি জানানো হয়েছে কেরলের ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড রদ করা হোক।’
আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না