Bangla News Dunia , অমিত : ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় সিনেমায় বিপুল অবদানের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন নির্বাচকরা। বিখ্যাত চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে শুরু হয়েছিল মিঠুনের কেরিয়ার। প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’-তে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
গৌরাঙ্গ থেকে হয়ে যান মিঠুন
মৃগয়া-র পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি উত্তর কলকাতার দাপুটে যুবক গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীকে। মুম্বইয়ে অচিরেই একের পর এক কাজ পেতে শুরু করেন তিনি। গৌরাঙ্গ থেকে হয়ে যান মিঠুন। হিন্দি, বাংলা সহ একাধিক ভাষায় তাঁর সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে দেয়। মুম্বইয়ে তাঁর শুরুর জীবনের স্ট্রাগল, ফুটপাথে রাত কাটানো থেকে একেবারে সাফল্যের শীর্ষে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বর্তমানে বিজেপি নেতা। মিঠুনের কেরিয়ারে মোট ৩টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে। ১৯৮৯ সালে একসঙ্গে ১৯টি ছবি মুক্তি পায় মিঠুনের। যা লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে রয়েছে। বলিউডে সেই রেকর্ড এখনও অটুট।
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
রাশিয়াতে অত্যন্ত জনপ্রিয় মিঠুন
৮০ দশকের একেবারে শুরুতে যখন বলিউডে অবাঙালি নায়করা রাজ করছেন, তখন মিঠুনের আত্মপ্রকাশ খানিকটা রূপকথার মতোই। ১৯৮২ সালে মিঠুনের ‘ডিস্কো ডান্সার’ বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে। ওই ছবি থেকেই মিঠুন খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সুদূর রাশিয়াতেও। আজও রাশিয়ায় অতিজনপ্রিয় বলিউড ছবি ডিস্কো ডান্সার। ১৯৯০ সালে অগ্নিপথ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার হিসেবে ফিল্মফেয়ার পান তিনি।
ছাত্রজীবনে ছিলেন নকশাল নেতা
উত্তর কলকাতায় বসন্ত কুমার চক্রবর্তী ও শান্তিরানি চক্রবর্তীর পুত্র মিঠুন পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন। ছাত্রজীবনে জড়িয়ে পড়েছিলেন নকশাল আন্দোলনে। ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর পরে নকশাল আন্দোলন ছেড়ে দেন তিনি। সিনেমায় কেরিয়ার গড়তে পাড়ি দেন মুম্বই। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের মৃগয়া ছবিতে নজর কাড়েন মিঠুন। ১৯৭৮ সালে নদী থেকে সাগর ছবির হাত ধরে বাংলা সিনেমায় ডেবিউ হয় মিঠুনের।
#End