Bangla News Dunia, দীনেশ : অষ্টাদশ থেকে বিংশ শতকের শুরুর দিককে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সেই সময় উপনিবেশগুলি থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ (India’s Wealth) শোষণ করেছিল ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি। যাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল ব্রিটেন। আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্পদের প্রধান উৎস ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ। অর্থাৎ, আজকের ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ব্রিটেনে সম্পদ নির্গমনের পরিমাণ ছিল ৬৮.৮২ ট্রিলিয়ন ডলার। এই সম্পদের প্রায় অর্ধেক (৩৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার) আজও ব্রিটিশ ধনকুবেরদের ১০ শতাংশের ভাঁড়ারে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। ‘টেকার্স, নট মেকার্স’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বহুজাতিক সংস্থাগুলির একটি অংশের ফুলে ফেঁপে ওঠার মূলে রয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সম্পদ। উপনিবেশগুলি থেকে শোষণ করা সম্পদ পরবর্তীকালে বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নি করা হয়। যার ওপর ভিত্তি করে সেগুলি বহুজাতিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ঔপনিবেশিক আমলের অসাম্য এবং লুণ্ঠন আধুনিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। এটি একটি গভীর বৈষম্য যা গোটা বিশ্বে বিস্তৃত। ঔপনিবেশিক বর্ণবাদের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এটা হল এমন এক বিশ্ব, যা মূলত গ্লোবাল সাউথ থেকে সম্পদ আহরণ করে চলেছে। আর তা ঘটছে মূলত গ্লোবাল নর্থের ধনী ব্যক্তিদের সুবিধার্থে।’ অক্সফামের পর্যবেক্ষণ, ‘আজকের দিনে বহুজাতিক সংস্থাগুলি প্রায়ই একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করে। গ্লোবাল সাউথের শ্রমিকদের, বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকদের মূলত গ্লোবাল নর্থের ধনী শেয়ার হোল্ডারদের দ্বারা শোষণ করা হচ্ছে।’ গ্লোবাল সাউথের চেয়ে গ্লোবাল নর্থের শ্রমিকদের মজুরি ৮৭ থেকে ৯৫ শতাংশ কম বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত
ভারতীয় উপমহাদেশকে ঔপনিবেশিক শাসনের কুফল কীভাবে ভোগ করতে হয়েছে তারও বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। অক্সফাম জানিয়েছে, ১৭৫০-এ ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বের মোট শিল্পজাত পণ্যের ২৫ শতাংশ উৎপাদন হত। ১৯০০ সালের মধ্যে সেটা মাত্র ২ শতাংশে নেমে এসেছিল। ভারতের বস্ত্রশিল্পকে ধ্বংস করতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা একাধিক বৈষম্যমূলক আইন তৈরি করে এবং কর কাঠামো গড়ে তুলে ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন:– মহিলাদের প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। চালু হল নতুন প্রকল্প। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?