ভারতে আসছে ইউনিক সিটিজেন কার্ড, মোদী সরকার চালু করছে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- নতুন বছরের বাজেট পর্ব শেষ হতে না হতেই শুরু হতে চলেছে ভারতের পরবর্তী জনগণনার কাজ। আর এরই মধ্যে নাগরিকত্ব ইস্যুতে একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে মোদি সরকারের তরফ থেকে। সিটিজেন কার্ড নামের এই নতুন উদ্যোগ নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।

সেন্সাস এবং NPR: মূল পরিকল্পনা 

জানা গিয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পরবর্তী সেন্সাস বা জনগণনার কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেন্সাসের পাশাপাশি জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR) আপডেটের কাজ হবে। এটি ২০১০ সালের পর প্রথমবার হতে চলেছে। 

নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর সেন্সাসের পাশাপাশি NPR-এর কাজ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রক্রিয়া থমকে যায় এবং তা পুনরায় ২০২৫ সালে করা হবে।

সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চ মাসে সেন্সাসের রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। এরপরে লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাদ্গ্যমে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য একটি নতুন সিটিজেন কার্ড ইস্যু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মোদি সরকার।

আরো পড়ুন :- মাত্র 3,530 টাকা ঢেলে 33 কোটি রিটার্ন ! 6 মাসে কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা, জানুন সেই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সম্পর্কে

সিটিজেন কার্ড কী? 

এই সিটিজেন কার্ড বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ পরিচিতি কার্ড হিসেবে কাজ করবে। এতে থাকবে একটি ইউনিক সিটিজেন নাম্বার, যা ভবিষ্যতে নাগরিকত্বের প্রমাণের প্রধান ডকুমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা প্যান কার্ডের মতো এই কার্ডও গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট হতে চলেছে। 

কার্ড তৈরির সম্ভাব্য কারণ 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে সিটিজেন কার্ড চালু করা হলে বৈধ ও অবৈধ নাগরিকদের মধ্যে সরাসরি পার্থক্য করা সম্ভব হবে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

২০২৫ সালের সেন্সাস এবং NPR-এর ভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। তবে এই উদ্যোগ চূড়ান্ত হলে বাজেটেের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না

খরচের হিসাব

২০১৯ সালের সেন্সাস এবং NPR-এর আপডেটের জন্য যথাক্রমে ৮৭৫৪ কোটি টাকা এবং ৩৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার এই সিটিজেন কার্ড যুক্ত হলে কেন্দ্র সরকারের ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। 

মোদি সরকার বারবার জানিয়েছে যে, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড বা আধার কার্ডকে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তাই একটি পৃথক সিটিজেন কার্ড চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

নতুন বছরের ৬ টি বড় কর্মসূচি 

নতুন বছরে মোদি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলির মধ্যে রয়েছে-

  • One Nation, One Election
  • অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
  • সেন্সাস
  • NPR
  • ডিলিমিটেশন
  • সিটিজেন কার্ড

 

জনগণের জন্য বার্তা 

নাগরিকত্ব ইস্যুতে এই নতুন পদক্ষেপ যদি কার্যকর করা হয়, তবে একটি দেশব্যাপী বড় পরিবর্তন আসবে। সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে নাগরিকদের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন আরো সহজ করা হবে। তবে এজন্য মানুষকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন