Bangla News Dunia, Pallab : হিন্দুধর্মে চারধামের মধ্যে অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। দেশের কোণা কোণা থেকে কোটি কোটি লোক জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে আসেন। বাদ যায় না বিদেশিনীরাও। যার ফলে বিগ্রহ দর্শনে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। একে অপরকে ঠেলাঠেলি করে কে ভালো করে জগন্নাথ দর্শন করবে তা নিয়ে একপ্রকার হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। ফলস্বরূপ অনেকেই আহত হন। এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত হয়। তাই এবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন পুরীতে বিগ্রহ দর্শনের জন্য এক ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে একটি বৈঠক এর আয়োজন করেছেন।
আরো পড়ুন:– গরমের দেশ ভারত, সূর্যের আলো প্রচুর, তাও দেহে ভিটামিন ডি কম, এর সমাধান বললেন ডাক্তারবাবু, জেনে নিন
ভিড় নিয়ন্ত্রণে বড় উদ্যোগ প্রশাসনের
সম্প্রতি মন্দিরে পুণ্যার্থীরা যাতে সহজেই বিগ্রহ দর্শন করতে পারেন বিনা ঝঞ্ঝাটে এবং দর্শন যাতে মসৃণ ভাবে হয়, তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয় রাজ্যের আইনমন্ত্রীর বৈঠকে। আর এই আবহে এক নয়া ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাড়হীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে নাটমণ্ডপে পুণ্যার্থীদের যাত্রা মসৃণ করতে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। তার অন্তর্গত ছ’টি লাইন তৈরি করা হবে। তাতে মহিলা, পুরুষ, প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আলাদা লাইনের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি নাটমণ্ডপে এয়ার কন্ডিশনার এর ব্যবস্থা করা হবে।
নতুন বছরে পুণ্যার্থীদের জন্য বড় চমক
এছাড়াও মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জন্য যাচ্ছে আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকেই এই নয়া ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আর মন্দিরের এই নতুন উদ্যোগে পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির দর্শনের অভিজ্ঞতা অনেক সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এই উদ্যোগ পুণ্যার্থীদের জন্য এক নতুন দিশা খুলে দিতে চলেছে। এটি শুধুমাত্র ভিড় নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মন্দির দর্শনকে আরও সুষ্ঠু, সহজ এবং স্মরণীয় করে তুলবে। একইসঙ্গে নতুন বছর থেকে আনন্দবাজারের শৃঙ্খলা নিয়েও আলোচনা করেছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন বাজারটিকে ‘আনন্দবাজার’ বলা হয়। সেখানে জগন্নাথদেবের খাজা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রসাদ এবং পুজোর নানা সামগ্রী, ফল , ফুল ইত্যাদি বিক্রি করা হয়। এবার সেই আনন্দবাজার নিয়ে নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে প্রশাসন। গঠন করা হবে শৃঙ্খলাকমিটি। আর এই কমিটির দায়িত্বে থাকবে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।