Bangla News Dunia, দীনেশ : রাজ্যে একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের আর্থিক বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে সরকারের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি আর্থিক বছরের শেষ তিন মাসে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলাকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার প্রতিটি জেলাকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলাগুলিতে ছড়িয়ে থাকা বালি ও পাথর খাদান, ইটভাটাগুলি থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে এই ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :- বরফে ঢাকা গ্রিনল্যান্ড কিনতে কেন এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প? জানতে পড়ুন বিস্তারিত
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে। এখানেই সবচেয়ে বেশি বালি ও পাথর খাদান রয়েছে। একইভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বালি ও পাথর খাদান না থাকলেও সেখানে প্রচুর পরিমাণে ইটভাটা রয়েছে। দখল হওয়া রাজ্য সরকারি জমি উচ্ছেদ করে দখলদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের আইনি স্বীকৃতি দিতে চায় রাজ্য সরকার। জমির খাজনা আদায়ের ওপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :- সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমে মজে মেসি? মুখ খুললেন মার্তিনেজ়
নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরে পূর্ব বর্ধমানকে ২১৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা, বীরভূমকে ২৬৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, পশ্চিম বর্ধমানকে ১৩১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দার্জিলিংকে ৭২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা, জলপাইগুড়িকে ৯২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে ৮৭ কোটি ২১ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :- ২টো কম্পিউটার আর দুজনের টিম, মাসে মাসে ঘরে বসে আয় ১.৫ লক্ষ টাকা ! একদম নতুন ব্যবসা