মমতার ধমকেই হল কাজ, এবার রাজ্যের সব বনাঞ্চলেই ফ্রি এন্ট্রি !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : শহরের ঘিঞ্জি এলাকা থেকে খানিক নির্ভেজাল অক্সিজেনের স্বাদ গ্রহণ করতে সকলেই ছুটি কাটাতে কাছে পিঠের জঙ্গলে ঘুরে আসে। সেক্ষেত্রে বিশাল জঙ্গলে ঘেরা শিমুল, পলাশ, শিরিষ, অর্জুন প্রভৃতি গাছের সমারোহ দেখে মনটা যেন সবুজে ভরে ওঠে। এ অরণ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণের। তবে অভয়ারণ্যগুলিতে সেই স্বাদ গ্রহণের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অত্যাধিক প্রবেশমূল্য। যার দরুন ইচ্ছা থাকলেও পকেটের চাপে আসা হয় না। তার ফলে অভয়ারণ্যগুলিতে জনপ্রিয়তা ক্রমেই হরিয়ে যাচ্ছে। এবার সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।

আরও পড়ুন:– লৌহযুগের শুরু তামিলনাড়ুতে, 5,300 বছরের পুরনো তরোয়াল হাতিয়ার স্ট্যালিনের

পর্যটকদের বহন করতে হয় অত্যাধিক প্রবেশমূল্য

এতদিন ধরে রাজ্যের অভয়ারণ্যগুলিতে প্রবেশ করত পর্যটকদের ভাড়া গুনতে হত। অর্থাৎ পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য ছিল ১০০ টাকা। কেউ যদি সেখানে বনভোজন বা পিকনিক করে তাহলে সেখানে জনপ্রতি লাগত ১৩০ টাকা। পাশাপাশি বাস বা ট্রাকের জন্য লাগত আরও ৪০০ টাকা। বাদ যায় না ছোট গাড়িগুলিও। সেক্ষেত্রে সেই গাড়িগুলির জন্য ৬০ টাকা টিকিট নিত বন কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তেন পর্যটকেরা। এবার সেই বিষয় সামনে আসার পরেই রেগে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাতারাতি বদলে গেল নিয়ম।

বনদফতরের তরফ থেকে দেওয়া হল বড় নোটিস

সূত্রের খবর গত বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিধায়ক। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল অভয়ারণ্যগুলিতে প্রবেশ মূল্য নিয়ে নানা রকম তথ্য তুলে ধরেন। আর রাতেও রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বনাঞ্চলে প্রবেশে আমজনতাকে গুণতে হবে টাকা, যেখানে জঙ্গল সাধারণ মানুষের অধিকার? এরপরেই তিনি টিকিট না নেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশ দেন অবিলম্বে বনাঞ্চলে প্রবেশ মূল্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে হবে।

আর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন দফতরের তরফ থেকে পর্যটকদের ওপর চড়া ভাড়া সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হল। আর সেই হিসেবেই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, বক্সায় দেখা যায় প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার সংক্রান্ত নোটিস। তবে এই নোটিস দেখে সকল পর্যটকদের ধারণা হয়েছিল যে নিশ্চয়ই ২৩ জানুয়ারি অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদতে তা যে না সেটি পরবর্তীতে খোলসা হয়েছে গোটা বিষয়টা। তবে বিনা মূল্যে অভয়ারণ্যে প্রবেশের খবর পেতেই আনন্দিত হয়ে পড়েছে পর্যটকেরা।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন