মরণের পরে ডিজিটাল আমি-র কী হবে? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- স্মৃতিপটে কী রয়ে যাবে? কারও মৃত্যুর পরে এই বার্তাটি রয়ে যায় নানা আঙ্গিকে। এখনকার দিনে যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি করে রয়ে যাচ্ছে, সেটা হল ডিজিটাল আমি-র কী হবে মরণের পরে? কারণ এখন ভার্চুয়াল আমি-ও যে একটা বড় কনসেপ্ট। মেইল হোক বা ক্লাউড, অনলাইন মাধ্যমে জমা হতে থাকে প্রচুর জরুরি অর্থনৈতিক তথ্য।

ই-মেইল আইডিতে থাকা সম্পত্তি বা বিনিয়োগের হিসেবই হোক, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা নানা তথ্য। সেগুলি কারও অ-বর্তমানে প্রিয়জন নাগাল না পেলে খুবই সমস্যার। কারণ এখনকার সময়ে হার্ড কপির চেয়ে সফট কপি অনেক বেশি থাকে।

কী ভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে জরুরি সব ডিজিটাল ডকুমেন্ট? অধিকাংশই ডিজিটাল লেনদেন বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন বিশেষ ইমেইল আইডি আর একটা বিশেষ ফোন নম্বর। সবার আগে প্রত্যেকের যেটা করা উচিত, সেটা হল সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রিয়জনকে এই দুটোর অ্যাকসেস দিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ইমেইল আইডির পাসওয়ার্ড, টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি, সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেওয়া। একই সঙ্গে যে নম্বরে ওটিপি বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে, সেটা জানিয়ে দেওয়া। এতে বিষয়টা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:– কোন ব্যাঙ্ক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়া সুবিধাজনক? প্রসেসিং চার্জ কার বেশি? রইল তালিকা

তাই সবার আগে অ্যাকাউন্ট নেম আর ইউজ়ার আইডি আলাদা করে রাখা উচিত। তার সঙ্গে দরকার লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল অর্থাৎ আইডি, পাসওয়ার্ড এবং এর সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য গুছিয়ে রাখা।

এর সঙ্গে আলাদা করে রাখা উচিত রিকভারি অপশনগুলো। অর্থাৎ যে আইডিতে তথ্য রয়েছে সেটি খোলা না গেলে, সেটিকে খোলার জন্য সেকেন্ডারি যে অ্যাকাউন্ট বা ফোন নম্বরে আইডি খোলার তথ্য যাবে।

প্রতিটা আইডি পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখার উপরও জোর দিতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে জরুরি হল খুব স্ট্রং পাসওয়ার্ড বেছে নেওয়া। যা কিনা লেটার, ওয়ার্ড এবং স্পেশাল ক্যারেক্টারের কম্বিনেশন হবে। আর কখনওই পরপর কিছু সংখ্যা দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করা ঠিক না। সেগুলোকে উল্টেপাল্টে দিলেই সেই পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি খুব গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা ফাইলের জন্য অবশ্যই এনক্রিপশন টুল ব্যবহার করতে হবে।

এই কাজগুলো আগে থেকে করা থাকলে, কারও অবর্তমানে প্রিয়জন খুব সহজেই যাবতীয় ডিজিটাল তথ্যের নাগাল পাবে। তাই এখন থেকেই বিশ্বস্ত ডিজিটাল এগজ়িকিউটর নিয়োগ করে রাখলে বড় সুবিধে। তিনি কোনও পেশাদার হতে পারেন। কিংবা নিজের কেউ। যিনি আপনার ডিজিটাল ডকুমেন্টস-এর খুঁটিনাটি সব কিছু জানবেন।

পাশাপাশি তাঁর নখদর্পণে থাকবে, আপনার মৃত্যুর পরে আপনার ডিজিটাল সম্পত্তির ভাগ কী রকম ভাবে হবে। তিনিই ঠিক করে দেবেন আপনার উত্তরসূরি কে কী পাবেন। এই কাজে করতে গেলে ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি যে কোনও আইডি ও পাসওয়ার্ড রিকভার করার কাজে তাঁর যেন প্রশ্নাতীত দক্ষতা থাকে।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন