Bangla News Dunia, Pallab : আজকাল ছেলেদের মত মেয়েরাও সমানতালে কাজে যোগ দিচ্ছেন। তবে বাজারে সেভাবে ভালো কাজ নেই বললেও চলে। যেগুলো আছে তার জন্য প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তাই অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে একটি কাজ রয়েছে যেটা শুরু করে ছেলে মেয়ে উভয়েই মাস গেলে মোটা টাকা আয় করছেন। আজ সেই সম্পর্কেই জানাবো আপনাদের, সাথে বলবো কিভাবে আপনিও নিজের ব্যবসা শুরু করে মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
আরও পড়ুন:– কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত? রইলো বিস্তারিত
কম পুঁজির ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব একথা সকলেই কম বেশি জানেন। তবে কিসের ব্যবসা চালু করবেন সেটাই বুঝতে পারেন না অনেকে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সোজা হল একটা ক্লাউড কিচেনের ব্যবসা শুরু করা। অর্থাৎ Swiggy বা Zomato এর মত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজের খাবার বিক্রি করা। নিজের বাড়ি থেকেই এই কাজ শুরু করা যায়। যেখানে রান্না করে খাবার ডেলিভারি বয়দের হাতে তুলে দিলেই টাকা পাওয়া যাবে। সবচেয়ে ভালো কথা হল যে অর্ডারও এই অ্যাপগুলিই এনে দেবে। কিন্তু কিভাবে ক্লাউড কিচেন শুরু করবেন? কত টাকা খরচ ও কত টাকা আয় হতে পারে? আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রইল এই প্রতিবেদনেই।
কীভাবে শুরু করবেন ক্লাউড কিচেন?
সবার প্রথমে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে যে এলাকায় আপনি ব্যবসা করতে চাইছেন সেখানে কি ধরণের খাবার বিক্রি হয়, কত মানুষ অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন এছাড়া কত টাকার খাবার অর্ডার করা হয়। সবটা রিসার্চ করে নেওয়ার পরেই ব্যবসার জন্য এগোনো উচিত। রিসার্চ শেষ হলে একটা রান্নার জন্য জায়গা বা ঘর খুঁজতে হবে সেটা নিজের বাড়িতে হলেও চলবে। এরপর আপনি যদি রান্না করতে পারেন ভালো, না হলে রান্নার লোক নিয়োগ করতে হবে।
শুরুতে বাড়ির রান্নার সরঞ্জাম দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে ঠিকই তবে কিছু জিনিসপত্র কিনতেই হবে। এছাড়া প্যাকিংয়ের সামগ্রীও কিনতে হবে। এরপর আসে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন পক্রিয়া। যে কোনো খাবারের ব্যবসা শুরুর আগে আপনাকে FSSAI লাইসেন্স, স্থানীয় এলাকার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এরপর Swiggy ও Zomato এর মত প্ল্যাটফর্মগুলিতে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
প্রথমবার ক্লাউড শুরুর ক্ষেত্রে প্যাকিং মেটেরিয়াল ও বাসনপত্র কেনার জন্য ৩০০০- ৪০০০ টাকা, এছাড়া লাইসেন্সের জন্য প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। এরপর রান্নার সামগ্রী বা কাঁচামালের জন্য আরো ২০০০ – ৩০০০ টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে ১০,০০০ টাকার মধ্যেই ক্লাউড কিচেনের কাজ শুরু করা যাবে।
কত টাকা আয় হতে পারে?
ক্লাউড কিচেন থেকে আয়ের পরিমাণ অর্ডারের উপর নির্ভর করে। তাই প্রতিমাসে হয়তো আয় একই রকম হবে না। তবে আপনি যদি খাবারের গুণমান ঠিক রাখেন ও সময় মত সার্ভিস দেন তাহলে আপনার কিচেনের জনপ্রিয়তা বাড়লে আরও বেশি অর্ডার আসতে থাকবে আর খুব সহজেই ২-৩ মাসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কমিশন বাদ দিয়েও প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:– Jio Coin বাজারে আনলো আম্বানি। থাকছে একাধিক সুবিধা। কিভাবে কাজ করবে এই কয়েন? জেনে নিন