মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন? এই Risk Factors যাচাই না করলে হতে পারে মোটা অঙ্কের লোকসান

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ : মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সর্বদাই বাজারের বিভিন্ন ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। সেই কারণেই এই ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে লোকসানের ঝুঁকিও বর্তমান থাকে। সঠিক ফান্ড নির্বাচন না করে বিনিয়োগ করা হলে হতে পারে মোটা অঙ্কের লোকসান। সেই কারণেই বিনিয়োগ করার সময় ঝুঁকি পর্যালোচনা করার বিষয়টিতে বাড়তি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্যই মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করলেও উচ্চ রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টর হতে পারে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। কোন কোন বিষয়গুলির উপর নজর রাখা দরকার? দেখে নিন-

আরো পড়ুন :- ঝাঁ চকচকে সেলুনে ঢুকে পড়লো একটা গরু, তারপর যা ঘটলো জানলে মজা পাবেন আপনি

ঝুঁকি কী?

ঝুঁকি হল লোকসানের শঙ্কা। অর্থাৎ, বিনিয়োগ করলে আপনার কী পরিমাণে লোকসান হতে পারে, সেটিকেই সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ইকুইটি ফান্ডগুলি দীর্ঘমেয়াদে আকর্ষণীয় রিটার্ন এনে দিতে পারে। তবে, স্বল্পমেয়াদে এটি বিভিন্ন কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কাও বর্তমান থাকে। মার্কেট ট্রেন্ড, সেক্টর স্পেসিফিক চ্যালেঞ্জ, কোম্পানি পারফর্ম্যান্সের মত বিষয়গুলি, স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগের উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। স্বল্পমেয়াদে এই সমস্ত বিষয়গুলির কারণে বিনিয়োগকারীরা বড়সড় উদ্বেগের সম্মুখীন হয়ে পড়তে পারেন। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক ফ্যাক্টর রইল নিম্নলিখিত-

আরো পড়ুন :- স্টেট ব্যাঙ্ক সবার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৩৬ টাকা কেটে নিচ্ছে, জানুন কেন কাটা হচ্ছে এই টাকা ?

মার্কেট রিস্ক: মার্কেট রিস্ক-কে সিস্টেমেটিক রিস্ক হিসাবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এটি মূলত বাজারের অস্থিরতার কারণে তৈরি হয়। অর্থনৈতিক মন্দা, আন্তর্জাতিক ঘটনা, গ্লোবাল মার্কেট ট্রেন্ডের মত বিষয়গুলির কারণে এই অস্থিরতার চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেহেতু ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলি স্টকে বিনিয়োগ করে থাকে, সেই কারণে এই ধরনের অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ প্রভাবিত হতে পারে।

আরো পড়ুন :- নকল সূর্য বানিয়ে চমকাল চিন

সেক্টর রিস্ক: কোনও নিদিষ্ট শিল্প ও সেক্টরে আন্ডারপারফর্ম্যান্স লক্ষ্যণীয় হলে এই ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ সরকারের নিয়মে পরিবর্তন, গ্রাহক চাহিদার পরিবর্তনের কারণে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য বা বিদ্যুতের মত খাতগুলির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সেক্টর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কী না, তা অবশ্যই যাচাই করে নিন। যে সমস্ত ফান্ডের একটি নির্দিষ্ট সেক্টরে অত্যাধিক বিনিয়োগ রয়েছে, সেগুলিতে লোকসানের ঝুঁকি বেশি থাকে।

কোম্পানির ঝুঁকি: কোনও নির্দিষ্ট কোম্পানি কোনও কারণবশত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে পড়লে সেটিকে কোম্পানি-স্পেসিফিক রিস্ক হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আর্থিক অস্থিরতা বা কমতে থাকা পণ্যের চাহিদার মত বিষয়গুলির কারণে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। কোনও ইকুইটি ফান্ডের এই ধরনের কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ থাকলে সেটি লোকসানের সম্মুখীন হয়ে পড়তে পারে।

আরো পড়ুন :- ৫,০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করুন, মাসে আয় ৫০,০০০ টাকা ! দেখুন স্বল্প বিনিয়োগের ৫টি ব্যবসা

এই ধরনের বিষয়গুলি মিউচুয়াল ফান্ডের পারফর্ম্যান্স এবং বিনিয়োগকারীদের ইনভেস্টমেন্ট, দুটি বিষয়ের উপরেই বড়সড় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া দরকার।

(এই প্রতিবেদনে কোনও বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়নি। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।)

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন