মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে আবাসের চেক, আনন্দে ঘুম ছুটেছে দুই কৃষকের

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:-  তাঁরা দু’জনই প্রান্তিক কৃষক। ভাঙাচোরা ঘরে দিন গুজরান। সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না নতুন ঘর তৈরির। রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার মাধ্যমে সেই আশা পূরণ হয়েছে। আবাসের চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠেছে। তবে সেই ঘরের টাকা যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নেবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি দু’জন। সোমবার সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মাথাভাঙ্গার পতনেতশ্বর বর্মন ও গোবিন্দ রায়ের।

কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা দুই ব্লকের অঙ্গারকাটা পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি ৫০ পেরনো দুই প্রৌঢ় পতনেশ্বর ও গোবিন্দের। তাঁদের বাড়ি বলতে কাঁচা দুটো করে ঘর। তারই মধ্যে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনওরকমে দিন চলে তাঁদের। দু’জনরেই আবাস যোজনা প্রাপকের তালিকায় নাম উঠেছিল তিন বছর আগে। তবে রাজনীতির কচকচানিতে এতদিন সেই প্রকল্প আটকে থাকায় আর ঘর পাবেন না বলে ধরেই নিয়েছিলেন গোবিন্দরা।

তবে রাজ্য সরকার নিজেরা আবাস যোজনার ঘর তৈরি করে দেবে বলে ঘোষণা করার পর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন এই দুই কৃষক। নতুন তালিকাতেও দু’জনের নাম ওঠে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ১৬ ডিসেম্বর নবান্নে প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন উপভোক্তার হাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ঘর তৈরির প্রথম কিস্তির চেক তুলে দেওয়া হবে।

কোচবিহার থেকে পতনেতশ্বর ও গোবিন্দকে মনোনীত করেছে প্রশাসন। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন দত্ত বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর মাথাভাঙ্গা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে তাঁরা কলকাতায় যাবেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চেক নিয়ে ফের কোচবিহারে ফিরে আসবেন। সঙ্গে একজন সরকারী আধিকারিকও যাচ্ছেন।’

এদিকে ঘরপ্রাপক গোবিন্দ এই প্রথম কলকাতায় যাচ্ছেন। আর শুধু কলকাতায় প্রথম যাওয়াই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চেক নেবেন। এটা ভাবতেই উত্তেজনায় দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘বহুদিনের শখ ছিল কলকাতায় যাব। সেটা যেমন পূরণ হচ্ছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখব। সুযোগ পেলে তার সঙ্গে কথাও বলব। এটা ভেবেই এত আনন্দ হচ্ছে যে, বলে বোঝাতে পারব না।’

পতনেশ্বর রায় অবশ্য এর আগে কলকাতা গিয়েছেন। তবে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখবেন। সুযোগ থাকলে কথাও বলবেন। তাই গোবিন্দের মতো তাঁরও ঘুম উবে গিয়েছে।

আরো পড়ুন:- নতুন শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিকের 19টি বিষয়ে পাঠক্রম বদল, কোন কোন বিষয়? জেনে রাখুন

মন্তব্য করুন