Bangla News Dunia , অমিত : শেষ দফার ভোট হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। আর শেষ দফার ভোটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। বাম, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস বামেদের সমর্থন দিয়েছে যার ফলে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। ফলে কংগ্রেসের ভোটগুলো বামেরা পাবে। আর যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বামেদের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে আগের মতন সেই শক্তি এখন আর নেই। কিন্তু ভোট কাটাকাটির খেলায় তারা তৃণমূল ও বিজেপিকে আটকে দিতে পারে। যার ফলে এই কেন্দ্রে লড়াই কিছুটা কঠিন সব দলের জন্য। আর এরই সাথে ইতিমধ্যে বিজেপি ওই কেন্দ্রে যেইভাবে সাড়া পাচ্ছে তাতে বিজেপি ওই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই প্রথম ওই কেন্দ্রে কোন বিজেপি নেতার উপর হামলা হয়েছে বলে জানা গেল। কারণ এর আগে সেইভাবে কোন বিজেপি নেতার উপর হামলা হয়েছে তা সামনে আসেনি। আর এই হামলার অভিযোগ তৃণমূলের দিকে রয়েছে।
আর ইতি মধ্যেই বিভিন্ন জাগায় দেখা গিয়েছে রাজ্যে প্রচারে ঝড় তোলা বিজেপির নেতাদের ওপর আক্রমণ, পোস্টার ব্যানার ছেঁড়া, পার্টি অফিস ভঙ্চুর এর মতন ঘটনা ঘটেছে। তেমনি এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রইল মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের মানুষ। অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা গতকাল রাতে বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির সুদন্য গায়েনের বাড়ি হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। নিমেষেই লন্ড ভণ্ড করে দেয়। সুদন্য গায়েন কোনক্রমে পালিয়ে গিয়ে প্রান বাঁচান। তিনি সরাসরি এই ঘটনার জন্য শাসক দলকে দায়ী করেন। পাশপাশি গতকাল রাতে রাজপুর সোনারপুর মিউনিসিপালিটির ২০,২২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির একাধিক ফ্লেক্স ব্যানার ফ্ল্যাগ ছিড়ে ফেলে TMC। উল্লেখ্য এইসব জায়গায় CPIM এর কিছু নষ্ট করেনি শাসক দলের লোকজন, যা রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে যে তৃণমুলের প্রধান ভয় বিজেপিকে নিয়ে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যে কোনো ক্ষেত্রে লড়াই তখনই হয় যখন প্রতিদ্বন্দ্বী সমানে সমানে কিংবা শক্তিশালী হয়। আসলে যাদবপুরের মতন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যিনি, সেই ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় যেমন স্বচ্ছ, সৎ, গুণী তেমনি নির্ভীক যোদ্ধা এবং মানুষের ভালোবাসা ও আর্শীবাদে ভরপুর। তাই কোথাও হয়তো শাসক দল এহেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া ভয় থেকেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও বারংবারের মতন শাসকদল এবারও সম্পূর্ণ রূপে এই ঘটনার দ্বায় এড়িয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনা সত্যই নিন্দনীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে।