Bangla News Dunia , Rajib : আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আরজি করের ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআই-কে আরও একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। ২ দিন মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সেখানেই তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শুক্রবার কোনও শুনানি না হলে বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো প্রধান বিচারপতি হিসেবে আরজি কর মামলা শুনলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
এ দিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি সিবিআই-এর থেকে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট চান। সেই রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘৫ নভেম্বর তারিখে সই করা স্টেটাস রিপোর্টে সিবিআই-এর ডিআইজি স্পেশাল (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) জানিয়েছেন, শিয়ালদহ কোর্টে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়ে গিয়েছে। তদন্ত চলছে। তাই এই প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের গতি-প্রকৃতি আদালতকে জানাতে হবে।’
রাজ্য সরকারের আইনজীবী কবিল সিবাল এ দিন আদালতে বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় যে বা যারা দোষী তাদের দ্রুত শাস্তি হোক চাইছে রাজ্য।’ এক আইনজীবী এ দিন শুনানি চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আরজি কর মামলার ট্রায়াল করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগে বিচার শুরু হতে দিন। তারপর অন্যান্য ইস্যুগুলি আলাদা করে বিবেচনা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) তাদের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যবিভাগের সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সকে। এ দিন হাসপাতালগুলির সুরক্ষার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব দিয়েছে টাস্ক ফোর্স। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনটিএফ-এর সুপারিশগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারগুলি তাদের মতামত আদালতে জানাবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
#END