Bangla News Dunia, দীনেশ :- ২৬শে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের নির্বাচনে বিজেপির হিন্দুত্বের মুখ শুভেন্দুই। রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে বাংলাদেশ ইস্যুকে হাতিয়ার করে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে বিজেপি ও গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ও জমিয়তের পালটা সভা থেকে সেই বার্তাই দিল বিজেপি।
আরো পড়ুন :- লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ মিলবে আরও সুবিধা, ২০২৬ এর আগেই বিরাট প্ল্যান মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ইস্যুতে ২৯ নভেম্বর কলকাতার রানি রাসমণি রোডে বাংলাদেশ ইস্যুতে সভা করেছিলেন জমিয়ত নেতা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ৩১ নভেম্বর সেখানেই কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়রা। বিধানসভা থেকে বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, সীমানার ওপারে যাহা ইউনূস এপারে তাহাই মমতা। এদিন আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে একাধিক হিন্দু সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে রানি রাসমণি রোডে পালটা সভা করে কার্যত যে শক্তি প্রদর্শন করল, গেরুয়া শিবির তার উদ্যোক্তা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্তিক মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধু-সন্তদের নিয়ে সেই মঞ্চে দেখা গেল না বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে উঠে আসা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী বা একদা সংঘের প্রচারকের দায়িত্ব থেকে রাজ্য সভাপতি হওয়া দিলীপ ঘোষদের। মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, তাপস রায় ও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতেন্দ্র তেওয়ারির মতো নেতারা। বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু রাজ্যের হিন্দুদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মনে করছেন বেলডাঙায় হচ্ছে কিম্তু কালনা, কাটোয়ায় তো হচ্ছে না। এটা ভুল। এখনই হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে আগামীতে বঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ ভোটবাক্সে হিন্দু ভোট একজোট করার ক্ষেত্রে তিনি যে ইতিমধ্যেই সফল, বিগত বিধানসভা ও সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটের নিরিখেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, ‘২০২১-এর বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে ৬৫ শতাংশ হিন্দু ভোট এক করে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছি। আর লোকসভায় তমলুক আসনে সেটাই ৭২ শতাংশ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জিতিয়েছি।’
আরো পড়ুন :- আর অল্প সময়ের অপেক্ষা, রাতের আকাশে দেখা যাবে এক মহাজাগতিক বিস্ময়, আরও জানতে পড়ুন…..
’২৬-এর বিধানসভা ভোটে রাজ্যে পরিবর্তনের লড়াইয়ে মেরুকরণই একমাত্র অস্ত্র বিজেপির। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত থেকে অমিত শা’রা ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বাবরি ধ্বংসের দিন রাজ্যজুড়ে তৃণমূল দিবস পালনের বিপরীতে শৌর্য দিবস পালন করে বিজেপি। শুক্রবার সেই উপলক্ষ্যে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার থেকে সিঁথি পর্যন্ত মিছিল করবে গেরুয়া শিবির। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন রাসমণির সভা থেকে দলের সেই কমসূচির কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে একগুচ্ছ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে বিক্ষোভ হবে। ১৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের আসরে আমিও ধ্বজা নিয়ে উপস্থিত থাকব।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে হিন্দুত্ব ইস্যুতে শুভেন্দুকে সামনের সারিতে রেখে এগোতে চাইছে বিজেপি। ’৭১-এ পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের দিনটিকে উদযাপন করে সেনাবাহিনী ও কেন্দ্র সরকার। এবার সেই বিজয় দিবসের উদযাপনেও শামিল হওয়ার জন্য রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।
আরো পড়ুন :- মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন, দিলেন বড় আশ্বাস