Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar). মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই প্রকল্প রূপায়ণ করেছিলেন রাজ্যের মহিলা নাগরিকদের জন্য। মহিলাদের সাহায্য করার জন্যই এই প্রকল্পের সূত্রপাত। তবে বর্তমানে যে খবর মিলল, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে অনেক উপভোক্তার নাম বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে কি হল? কেন বাদ যাচ্ছে তাঁদের নাম?
Lakshmir Bhandar Scheme In West Bengal
রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Government Scheme) প্রাথমিক ভাবে ৫০০ ও ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হত। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্বে এই প্রকল্পের সাহায্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়। বর্তমানে এই প্রকল্পের উপভোক্তারা পাচ্ছেন ১০০০ ও ১২০০ টাকার আর্থিক সাহায্য। কিন্তু অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বেশ কিছু নিয়ম ধার্য করেছে সরকার। সেই নিয়ম না মানলে বন্ধ হতে পারে সাহায্যের পরিমাণ।
কেন তালিকা থেকে বাদ পড়ছে উপভোক্তাদের নাম?
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যে কিছু মহিলার নাম বাদ পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের যে সুবিধাভোগী তালিকা সেখান থেকে। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ। কোন কোন কারনে বাদ পড়ছে নাম? আসুন জেনে নেওয়া যাক
১) ভুয়া নথিপত্র
ইতিমধ্যে রাজ্যের কিছু মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা নাকি ভুয়া জাতি শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি জমা দিয়ে প্রকল্পের সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, ভুয়ো নথির মাধ্যমে প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ কিন্তু আইনত অপরাধ। তাই এই কারণে, তাদের নাম বাদ পড়ছে প্রকল্পের তালিকা থেকে।
২) একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
রাজ্যের প্রচুর মহিলা নিজের নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন আর সেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে চলছেন। এমনকি এও নাকি শোনা যাচ্ছে যে, এমন মহিলাদের নামও বাতিল করা হয়েছে, কারণ এটি অবশ্যই প্রকল্পের শর্তের পরিপন্থী।
৩) বয়স সংক্রান্ত অনিয়ম
রাজ্যের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যোগদানের জন্য যে নিয়ম রয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে প্রকল্পে সাহায্য পাওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা ২৫ বছর। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, অনেক কম বয়সী মহিলাও ভুয়া নথি দিয়ে সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের নামও তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে।
৪) জয়েন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অন্যতম শর্ত, নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। রাজ্যবাসী যেসব মহিলার বর্তমানে নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন, তাদের নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে।
৫) অসম্পূর্ণ KYC
যদি কোনো উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাময়িকভাবে। তবে, KYC আপডেট করার পর আবার পুনরায় সুবিধা চালু হয়।
কিভাবে পুনরায় তালিকায় নাম নথিভুক্ত করবেন? লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সাহায্য পেতে ও লিস্টে নাম নথিভুক্ত করতে প্রকল্পের শর্তগুলো যথাযথ ভাবে মানতে হবে। যেমন-
- প্রকল্পের সাহায্য পাওয়ার জন্য সঠিক নথিপত্র জমা দিন।
- আপনার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট খুলুন।
- সঠিক সময়ের মধ্যে KYC আপডেট করুন।
- এছাড়াও যদি কোনো সুবিধা না হয় তাহলে ব্লক অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন:– চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী ভারতের দাবি মেনে নিল বাংলাদেশ, বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন:– বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে ‘হোমমেড’ অ্যালার্ম, কিভাবে কাজ করে ?