রেলের আয় বাড়ল ১৩১%, একদিনেই শিয়ালদা লাইনে টাকা উঠল … !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

trainn

Bangla News Dunia, Pallab : টেনে যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে টিকিট কিনতে হয় একথা সকলেরই জানা। তবে অনেকেই এমন আছেন যারা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। তাই রেলের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই সারপ্রাইজ চেকিং চালানো হয়। যার ফলস্বরূপ শতাধিক বা কখনো হাজারেরও বেশি মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফাইন আদায় হয়েছে বলে শোনা যায়। ঠিক এমনই এক টিকিট চেকিং ড্রাইভের আয়োজন করা হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে।

গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে টিকিট চেকিং ড্রাইভ

কাকদ্বীপ দিয়েই অনেকেই গঙ্গাসাগর ভ্রমণ করছেন। তাই ইস্টার্ন রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার, কর্মার্শিয়াল ম্যানেজার শিয়ালদহ থেকে শুরু করে সহকারী কমার্শিয়াল ম্যানেজার ও সহকারী নিরাপত্তা কমিশনাররা মিলে কাকদ্বীপে একটি টিকিট চেকিং ড্রাইভের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চেকিংয়ের পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:– সংঘর্ষে নিহত ১২ মাওবাদী সদস্য, ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর

ভিড়ের সময় বা উৎসবের মরশুমে টিকটি কাউন্টারে বিরাট লাইন নতুন কিছু নয়। স্মার্টফোনে UTS  এর মাধ্যমে টিকিট কাটা যায় ঠিকই, তবে অনেক প্রবীণ মানুষেরা অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ হন। তাই তাদের জন্য মোবাইল আনরিজার্ভড টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের আর টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না। এছাড়া তীর্থযাত্রীদের জন্য আধুনিক টয়লেট চালু করার পাশাপাশি প্রয়োজনে চিকিৎসা  প্রদানের জন্য মেডিক্যাল বুথ তৈরী করা হয়েছে। এমনকি বড় কিছুর ক্ষেত্রে যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

তীর্থযাত্রীদের জন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যায় যাত্রীরা স্টেশনে উপস্থিত হবেন। এমতাবস্থায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তা আরও কড়া করতে আরপিএফ, জিআরপি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সিসিটিভির মাধ্যমে গোটা স্টেশন চত্বরের উপর জোনোর রাখা হয়েছে। যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা ও নামার সময় সাহায্য করার জন্য সিভিল ভলিন্টিয়ারেরাও আছেন।

এক দিনে আয় বাড়ল কতগুণ?

বলার অপেক্ষা রাখে না কাকদ্বীপ স্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি টিকিট বিক্রি ও আয়ের পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৪.১.২০২৫ তারিখে নামখানা স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে  ১০৬.১% ও আয় বেড়েছে ১৩১.৫%। একইভাবে কাকদ্বীপ স্টেশনেও টিকিট বিক্রি ও আয়  যথাক্রমে ৩৭.৯ % ও ৫২.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর এই দুই স্টেশন মিলিয়ে রেলের আয় হয়েছিল ৪.২ লক্ষ টাকা। যেটা এবছর ৮.৩ লক্ষ হয়ে গিয়েছে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন