Bangla News Dunia, দীনেশ :- দু’দিন আগেই রেলে চাকরি দেওয়ার নামে বড়সড় আন্তঃরাজ্য জালিয়াতি চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল আসানসোল শহরে। সেই চক্রের মাস্টারমাইন্ডকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। রবিবার রাতে আসানসোল শহরের সৃষ্টিনগরে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করল এই চক্রের আরও এক সদস্যকে। ধৃতর নাম অবধেশ যাদব, পেশায় অটোচালক। জানা গিয়েছে, ধৃত অটোচালকের বাড়ি আসানসোল দক্ষিণ থানার দুর্গামন্দির এলাকায়। সোমবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এই চক্রের বিরুদ্ধে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে ৬০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে।
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশিদের সামাজিক ভাবে বয়কটের বার্তা অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার !!
সোমবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানান, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা লক্ষণ ঘোষাল চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় শনিবার রাতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতর নাম হরিন্দ্রর সিং। তার বাড়ি বিহারের আড়া জেলায়। ধৃতকে জেরা করে পুলিশের হাতে এই ঘটনা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আসে। তার ভিত্তিতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ উত্তর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোলের সেনরেল রোডে ‘সংহতি’ আবাসন এলাকায় হানা দেয়। ঠিক সেই সময় ওই আবাসন থেকে বেরোচ্ছিলো একটি অটো রিক্সা। সন্দেহ হওয়ায় সেটিকে আটকায় পুলিশ। তল্লাশিতে সেই অটো থেকে এই মামলা সংক্রান্ত প্রচুর নথি পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে অটো সহ সেইসব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় চালককে। এরপর ওই আবাসন এলাকার দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে এই ঘটনা সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে নিয়োগ পত্র, ওএমআর শিট, রেলের চাকরির নিয়ম সংক্রান্ত একাধিক বই, মেডিকেল পরীক্ষার সার্টিফিকেট। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে নগদ ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। দুটি ফ্ল্যাটকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন :- ভারতের একমাত্র রাজ্য যা ৩ দেশ দিয়ে ঘেরা! জনসংখ্যা ৯১ মিলিয়ন
এই প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ওই আধিকারিক আরও জানান, মহারাষ্ট্রের ওই ব্যক্তি যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে মোট ৬ জনের নাম রয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে প্রতারিত করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মূল অভিযুক্তর কলকাতাতেও ফ্ল্যাট আছে বলে জানা গিয়েছে। চক্রের সদস্যরা আসানসোলে রেলের চাকরিতে জয়েন করানোর টোপ দিয়েছিল। সেই মতো অন্য রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। রেলের হাসপাতালে তাঁদের মেডিকেল পরীক্ষাও করানো হয় । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন :- আর দরকার নেই মোবাইল টাওয়ারের, স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই চলবে ফোন, নতুন ঘোষণা