লক্ষ্য স্পেস ডকিং, SpaDeX Mission শুরু ইসরোর !

By Bangla News Dunia Dinesh

Updated on:

isro

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- ৩০ ডিসেম্বর। মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্যের দোরগোড়ায় ভারত। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে স্পেডেক্স মিশন (SpaDeX Mission) শুরু করেছে ইসরো (ISRO)। ওইদিন রাত ১০টায় মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার রকেট পিএসএলভি-সি৬০। এবারের পরীক্ষাকে স্পেডেক্স বা স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট বলে উল্লেখ করেছে ইসরো। এর অর্থ, পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় ২টি মহাকাশযানকে যুক্ত (ডকিং) এবং বিচ্ছিন্ন (আন ডকিং) করা। এই প্রযুক্তি আয়ত্তে এলে বিশ্বের ৪টি দেশের তালিকায় ঢুকে পড়বে ভারত। বর্তমানে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের কাছে স্পেস ডকিং প্রযুক্তি রয়েছে। স্পেডেক্স মিশন সফল হলে এই তালিকায় জুড়ে যাবে ভারতের নাম।

আরো পড়ুন :- ২০২৪ সালে ভারতীয়রা গুগলে সবচেয়ে বেশি কী সার্চ করলেন ? একনজরে দেখে নিন তালিকা

ইসরো জানিয়েছে, পিএসএলভি-সি৬০-এর প্রধান পে-লোড হচ্ছে ২টি মহাকাশযান। এগুলি হল, স্পেডেক্স ১ (চেজার) ও দ্বিতীয়টি স্পেডেক্স ২ (টার্গেট)। ২টি যানের মোট ওজন প্রায় ২২০ কেজি। এছাড়া আরও ২৪টি পে-লোড বহন করছে ইসরোর রকেট। পৃথিবীর কক্ষপথে চেজার ও টার্গেট মহাকাশযানকে মুক্ত করবে পিএসএলভি-সি৬০। এরপর পৃথিবীকে পাক খেতে খেতে মাটি থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে চেজারের সঙ্গে যুক্ত হবে টার্গেট। এজন্য চেজারে রয়েছে একটি রোবটিক বাহু, যেটি হুকের সাহায্যে টার্গেটকে টেনে নেবে। পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়াও চাঁদের কক্ষপথেও চলবে এই ডকিং প্রক্রিয়া। সেটি সম্পূর্ণ হলে আনডকিংয়ের মাধ্যমে ফের যান ২টি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে অভিযানের মেয়াদ নূন্যতম ৬৬ দিন থেকে ২ বছর পর্যন্ত হতে পারে ইসরো সূত্রে খবর।

আরো পড়ুন :- মাত্র 3,530 টাকা ঢেলে 33 কোটি রিটার্ন ! 6 মাসে কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা, জানুন সেই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সম্পর্কে

স্পেডেক্স অভিযানের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘চন্দ্রযান ৪-এর নিরিখে এবারের অভিযান গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রযান ৪-এ আমরা চাঁদে অবতরণ করব এবং সেখান থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসব। এই অভিযানে যেসব পদক্ষেপ করা হবে তার অন্যতম হচ্ছে ডকিং। স্পেডেক্স মিশন যে সক্ষমতা নিশ্চিত করবে।’ সংঘর্ষ এড়াতে চেজার ও টার্গেটের অ্যাপ্রোচ বেগ প্রতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটারের কম হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মিশন প্রধান জয়কুমার বলেন, ‘২০৩৫-এর মধ্যে ভারত মহাকাশে নিজস্ব স্পেসস্টেশন তৈরি করবে। সেটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ডকিং।’

আরো পড়ুন :- ‘এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা’- কার উদ্দেশ্যে বার্তা সলমন খানের ?

 

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন