Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভেবেছিলেন কল সারাতে সারাতেই গোটা জীবন কেটে যাবে তাঁর। কিন্তু কাহিনীতে মোচড় নিয়ে এল রংচংয়ে একটি লটারির টিকিট। সেই কিশোর বয়স থেকে হাড়ভাঙা খাটনি খেটেও সংসারের অভাব-অনটন ঘোচাতে পারেননি হরিয়ানার বাসিন্দা মঙ্গল সিং। বুধবার রাতে আচমকাই ভাগ্যের চাকা ঘুরল গরিব কলমিস্ত্রির।
সিরসার খৈরপুর গ্রামের বছর চল্লিশের কলমিস্ত্রি মঙ্গল লটারি জিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। সেই বাবদ পেয়েছেন এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। লটারির টিকিট কাটা তাঁর বহুকালের নেশা। লটারির টিকিটে দু-চারবার ছোটখাটো অঙ্কের টাকা যে পাননি তা-ও নয়। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁর ভাগ্য এভাবে বদলে দেবে ছোট্ট একটি কাগজ।
আরো পড়ুন :- আর অল্প সময়ের অপেক্ষা, রাতের আকাশে দেখা যাবে এক মহাজাগতিক বিস্ময়, আরও জানতে পড়ুন…..
মঙ্গলবার সারাদিনের কাজের শেষে রাত নটা নাগাদ পাড়ার দোকানে গিয়েছিলেন আড্ডা দিতে। তখনই তাঁর কাছে ফোন আসে লটারির দোকান থেকে। দোকানের মালিক তাঁকে সুখবরটা দেন। ‘শুনে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। ঈশ্বর মঙ্গলময়। তিনি না চাইলে সারাজীবনেও এত টাকা উপার্জন করা সম্ভব হত না’, বললেন মঙ্গল। বাড়িতে খবরটা পৌঁছোতেই খুশিতে ভেসে যায় পরিবার। আনন্দের খবর চার দেওয়ালে আটকে না থেকে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পাড়াপড়শিরাও মেতে ওঠেন খুশিতে। মঙ্গল বললেন, ‘উত্তেজনায় সারা রাত আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি।’
আরো পড়ুন :- মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন, দিলেন বড় আশ্বাস
মঙ্গলের দীর্ঘদিনের বন্ধু স্থানীয় বাসিন্দা মহেন্দ্র পাল বললেন, ‘লটারি জেতার পর মঙ্গল প্রথম ফোনটা করে আমাকে। আমি ভেবেছিলাম সে মজা করছে। কিন্তু সব শুনে খুব খুশি হয়েছি। এত পরিশ্রমী একজনকে এই পুরস্কার পেতে দেখে সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে।’
কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করবেন? জবাবে মঙ্গলের স্ত্রী বন্দনা বললেন, ‘চিরদিন তো থাকলাম ভাড়াবাড়িতে। টাকা পেলে এবার নিজেদের একটা পাকা বাড়ি তৈরি করব। এতদিন বাদে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।’ আর কোনও সাধ নেই তাঁদের? মঙ্গল বললেন, ‘তা কেন! নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তো দরকারই। একইসঙ্গে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ও উচ্চশিক্ষা যাতে টাকার অভাবে বন্ধ না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’
আরো পড়ুন :- লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ মিলবে আরও সুবিধা, ২০২৬ এর আগেই বিরাট প্ল্যান মুখ্যমন্ত্রীর