Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাক্ষুসে আগুন গিলে খাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে। এক সপ্তাহ হতে চলল। অথচ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণই নেই। বিধ্বংসী এই আগুনকে কাবু করতে এ বার শহরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গোলাপি রঙের পাউডার। কয়েক হাজার গ্যালন গোলাপি পাউডার ছেটানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। কী এই গোলাপি গুঁড়ো? কী ভাবে তা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনবে?
জানা যাচ্ছে, গোলাপি রঙের এই পাউডার জাতীয় উপাদানটির নাম ফস-চেক। পেরিমিটার নামে একটি সংস্থা তা তৈরি করে। বড় পরিসর জুড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক ক্ষেত্রে এই ফস-চেক ব্যবহার করা হয়। সেই ১৯৬৩ সাল থেকে আমেরিকা এটির ব্যবহার করছে।
কী ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে গোলাপি পাউডার?
মূলত আগুনের চারপাশে স্প্রে করা হয় ফস-চেক। আগুনের গতি আটকাতে এটি স্প্রে করা হয় আকাশ থেকে। ফস-চেকের মধ্যে থাকা উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে জল, সার জাতীয় নুন এবং রঙিন ও ক্ষয় প্রতিরোধকারী পদার্থ। এগুলি যথাক্রমে ৮০ শতাংশ, ১৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশের সমানুপাতে মেশানো থাকে। এগুলি দিয়ে তৈরি হওয়া গোলাপি পাউডার অর্থাৎ ফস-চেক জ্বালানির তাপমাত্রা হ্রাস করতে সহায়ক হয়। অক্সিজ়েনের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে এটি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন:– পোস্ট অফিসের দুর্দান্ত স্কিম, 5 বছরের বিনিয়োগে সুদ 2,25,000 হাজার টাকা ! এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না
ফস-চেকের ব্যবহার নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে। একাধিক সমালোচকের দাবি, এই গোলাপি পাউডার পরিবেশের ক্ষতি করে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান কার্যকর নয়। এই গোলাপি পাউডার স্প্রে জলাশয়ে পড়লে সেখানকার মাছের মধ্যে মড়ক লাগতে পারে।
বিতর্কের মুখে পড়ে উৎপাদনকারী পেরিমিটার সংস্থার তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ফস-চেক ছড়িয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এটিকে দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। গরম জল এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে তুলে ফেলতে হবে গোলাপি পাউডারের স্প্রে।
আরও পড়ুন:– দেশে ন্যায়তন্ত্র থাকলে সবার আগে মোদি-যোগীকে শাস্তি দেওয়া হত, কেন এই কথা বললেন পুরীর শঙ্করাচার্য ?
আরও পড়ুন:– ‘ব্যাঙ্কের অ্যাপে’ এ বার সাইবার হানা, আসল-নকল না বুঝলে বড় বিপদ শিয়রে…