লোক ঠকানোর ‘স্ক্রিপ্ট’ বানিয়ে ট্রেনিং, RBI-এর নথি জাল করে প্রতারণা চক্র বারাসতে, জানলে অবাক হবেন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রীতিমতো স্ক্রিপ্ট তৈরি করে রাখা ছিল। সম্ভাব্য প্রশ্ন ও তার উত্তর মুখস্থ রাখতেন কর্মীরা। কাউকে প্রতারণার জালে ফাঁসাতে ট্রেনিং দেওয়া হতো কলারদের। আরবিআই-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের জাল নথিও সাজিয়ে রাখা ছিল অফিসে। লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চলত প্রায় দু’বছর ধরে। বারাসত জেলা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মূল পান্ডা-সহ ৫ জন অভিযুক্ত। ধৃতরা হলেন সুমন দে, পূজা বিশ্বাস, ঝিলিক দাস, শম্পা দে, শুভ সিং, সঞ্জীব মজুমদার।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে সুমন দে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ‘টেলি কলিং সেন্টার’-এর নামে এই প্রতারণা চক্র চালাতেন। অফিসে ৩৪ জন পুরুষ-মহিলা কর্মী কাজ করতেন। তাঁদের কাজ ছিল ফোন করে সাধারণ মানুষকে লোনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার জালে ফাঁসানো।

আরও পড়ুন:– বাংলাদেশের বাসিন্দাদের উপর বিপুল ট্যাক্স চাপালেন ইউনূস, বিপাকে সাধারণ মানুষ, বিস্তারিত জানুন

বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী জানান,পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হানা দেয় শিশিরকুঞ্জের ওই টেলি কলিং সেন্টারে। সেই সময়ে অফিসের কর্মীরা কাজে ব্যাস্ত। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সুমন দে-সহ ৫ জনকে। অফিস থেকে উদ্ধার হয় ৪২টি মোবাইল, দু’টি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ।

পাশাপাশি, আরবিআই-সহ অসংখ্য ব্যাঙ্কের জাল নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন ফাইল ঘেঁটে পুলিশ দেখতে পায়, নির্দিষ্ট বয়ানে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে রাখা ছিল। কলারদের কী ভাবে প্রশ্ন করতে হবে, প্রশ্নের ভিত্তিতে কী উত্তর দিতে হবে, প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য কী কী বলতে হবে, সব কিছু শিখিয়ে দেওয়া হতো কর্মীদের। তবে, এই চক্রের সঙ্গে আরও বড় কোনও যোগাযোগ আছে কি না, সে ব্যাপারে ঘেঁটে দেখছে পুলিশ। ধৃত ছ’জনকেই বারাসত আদালতে পেশ করা হয়।

আরও পড়ুন:– উচ্চ বেতনে কলকাতা হাই কোর্টে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন

আরও পড়ুন:– বিচারের ভুলে ২৫ বছর বন্দি থাকার পর সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি, পড়ুন এক নিদারুন কাহিনী

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন