শিকাগোয় বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামীজির বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়েছিল বিশ্ববাসী ! জানুন সংক্ষিপ্ত বিবরণ

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব : যুগ পুরুষ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ যিনি ধর্ম, বেদ, বেদান্ত, বিজ্ঞান, শিল্প, দর্শন, সমাজ বিজ্ঞান ও সাহিত্যে বিপুল জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তাঁর বাণী যুবসমাজের মনে নতুন উত্‍সাহের সঞ্চার করে। ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে তাঁর সেই ঐতিহাসিক বক্ত‍ৃতা পেশ করেন বিবেকানন্দ। হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় দর্শনের উপর তাঁর সেই বক্ত‌ৃতা ইতিহাস সৃষ্টি করে। বক্ত‌ৃতা শেষ হওয়ার পর পুরো ২ মিনিট ধরে মুগ্ধ দর্শকমণ্ডলী উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন :- বাংলায় ৭৩৪ কোটির বিনিয়োগ মোদী সরকারের

সেই বক্ত‍ৃতার ১৩০ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু তা আজও দেশে-বিদেশে একই রকম আলোচ্য বিষয়। আজ ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দর জন্ম জয়ন্তীতে জেনে নেব শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যে বক্ত‌ৃতা রেখেছিলেম স্বামীজি, তারই কিছুটা সারাংশ। শিকাগোর সেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামীজির বক্ত‌ৃতার সারাংশ জেনে নিন —

১.বক্তব্যের শুরুতেই স্বামীজি বলেন, ‘হে আমার আমেরিকান ভাই ও বোনেরা, তোমরা আমাকে যে ভালোবাসা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছ, তা আমার হৃদয় পূর্ণ করে দিয়েছে। বিশ্বের প্রাচীনতম সাধু-সংস্কৃতি ও সব ধর্মের জননীর তরফ থেকে আমি তোমাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। হিন্দুদের সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের তরফে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

আরো পড়ুন :- ডিসেম্বর ছেড়ে এ বার জানুয়ারির-হুমকি শুভেন্দুর !

২. আমি সেই ধর্মের অংশ হওয়ায় গর্ববোধ করি, যে ধর্ম গোটা বিশ্বকে সহ্যশক্তি ও গ্রহণক্ষমতার শিক্ষা দিয়েছে। আরও গর্বিত, কারণ আমি সেই দেশের মানুষ, যে দেশ সব ধর্মের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে।

৩. বিভিন্ন নদী বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্‍পন্ন হয়ে বিভিন্ন পথ ধরে চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সবাই সমুদ্রে মিলিত হয়। ঠিক তেমনই বিভিন্ন মানুষ তাঁর পছন্দমতো বিভিন্ন ধর্মের পথ বেছে নিতে পারেন। পথ আলাদা মনে হতে পারে, কিন্তু সব পথই ঈশ্বরের কাছে গিয়ে মিলিত হয়।

আরো পড়ুন :- দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন ! দ্রুত কমবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ?

৪. পবিত্র ধর্ম সম্মেলন গীতার সারাংশেরই অনুরূপ। গীতায় বলা হয়েছে, ‘যে আমার কাছে আশ্রয় চাইবে, আমি তাঁকেই আশ্রয় দেব।

৫. সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং অন্য ধর্মে প্রতি অসহনশীলতা এই সুন্দর ভূমিকে বারবার আক্রমণ করেছে এবং পৃথিবীকে বারবার রক্তে রাঙিয়ে তুলেছে।

৬. রাক্ষসরূপ ধর্মীয় হানাহানি যদি না থাকত, তাহলে মানব সভ্যতা আরও সুন্দর হত। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই হিংসা ও হানাহানি বন্ধ করার। বিশ্বধর্ম সম্মেলন তারই প্রমাণ।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

আরো পড়ুন :- পাকিস্তানে হামলা চালাল আফগান তালিবান, নিহত ৬, আহত ১৭

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন