শুধু UK-তেই ৮৫টি শরিয়া আদালত, কী বদল হচ্ছে ব্রিটেনে?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ব্রিটিশ রাজপরিবারের দেশ। অধিকাংশ নাগরিকরই খ্রিস্টান। সেই দেশেই হু হু করে বাড়ছে শরিয়া আদালতের সংখ্যা। গোটা ব্রিটেনে এখন রয়েছে ৮৫টি শরিয়া কাউন্সিল, ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন সূত্রের খবর। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ব্রিটেনকে শরিয়া আদালতের পশ্চিমা রাজধানীও বলা হচ্ছে নানা মহলে।

শরিয়া কাউন্সিল মুসলমান সমাজের মধ্যে অত্যন্ত ক্ষমতাধর হয়। এদের অসম্ভব প্রভাবও থাকে। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা থেকেও অনেক ইসলাম ধর্মাবলম্বী বিয়ে এবং পরিবার সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য শরিয়া আদালতের মুখাপেক্ষী হচ্ছে আজকাল। এর ফলে সেই দেশের পরিবার আইনের বদলে শরিয়া আইন মেনে চলা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের একটি সংগঠন। UK-এর দি টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনে প্রথম শরিয়া কাউন্সিল তৈরি হয়েছিল ১৯৮২ সালে।

আরো পড়ুন:– পৃথিবীর চেয়ে ১৪০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি জলের সন্ধান মিলল, এই বিপুল জল রয়েছে কোথায়?

গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল পূর্ব লন্ডনের লিটনে (Leyton) রয়েছে। এটি একটি রেজিস্ট্রার্ড চ্যারিটি, এর মাধ্যমে মুসলিম সমাজে বিয়ে বা বিকাহ, তালাক বা স্বামীর দ্বারা ডিভোর্স দাবি এবং খুলা বা স্ত্রীরে দ্বারা ডিভোর্স দাবির মামলাগুলি শোনা হয়।

ব্রিটেনের এই শরিয়া আদালতগুলি একাধিক ইসলামিক বিদ্বজনদের নিয়ে তৈরি, যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ। এরা বিভিন্ন ধর্মীয় নির্দেশ এবং বিয়ে ও পরিবার নিয়ে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনে অন্তত ১ লক্ষ ইসলামমতে বিয়ে হয়েছে যা দেশের প্রশাসনের কাছে নথিবদ্ধ নেই। টি টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অধিকাংশ মুসলিমপ্রধান দেশ এখন পরিমার্জিত শরিয়া ব্যবহার করে। কিন্তু বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের সময় পুরনো শরিয়া আইনই মেনে চলে। যা আধুনিক যুগের দেওয়ানি আইনের সঙ্গে অনেকটাই আলাদা।

ব্রিটেনের একটি সংগঠন, যারা মূলত ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সরব হয়, সেই ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটি শরিয়া আদালতের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে এর ফলে ব্রিটেনে একটি সমান্তরাল আইনি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সবার জন্য এক আইন বিষয়টি বলবৎ করা যাচ্ছে না। সংগঠনের অভিযোগ, এর ফলে নারী ও শিশুদের অধিকার মারাত্মক ভাবে খর্ব হচ্ছে।

ইসলামে এক বিশেষ ধরনের বিয়ের জায়গা রয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনও ব্যক্তি কোনও মহিলাকে বিয়ে করতে পারে। তার জন্য ওই মহিলাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও দিতে পারেন ওই ব্যক্তি। এটা অনেকটা কন্ট্রাক্ট ম্যারেজের মতো। সে দেশের সাধারণ আইনে এর কোনও ভিত্তি না থাকলেও, শরিয়ামতে রয়েছে। এর জন্য এইভাবে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি, খবর দি টাইমসের প্রতিবেদন সূত্রে।

আরো পড়ুন: ভারতীয় সেনার ‘কন্ডোম স্ট্র্যাটেজি’-তে কুপোকাত পাকিস্তান, জানুন ‘একাত্তরের যুদ্ধে’র অজানা কাহিনি

আরো পড়ুন:– শাহরুখের সঙ্গে কী নিয়ে সমস্যা হয়েছিল অভিজিতের? জানতে পড়ুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন