Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- স্বামীকে জেলে দেখতে চান না বলে আদালতে ‘পাল্টি খেলেন’ স্ত্রী। মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বাবাকে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ স্বামীর বিরুদ্ধে গেলেও, শুনানি যখন প্রায় শেষের দিকে, তখন আচমকাই নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন ঘটনার মূল সাক্ষী স্ত্রী। তবে আদালত তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়নি। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দোষীকে ১০ বছরের সাজা শোনায় আলিগড় জেলা আদালত, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
মামলাটি একটি পকসো কেস। ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ, চার বছরের শিশুকন্যার মা থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বাবা। অভিযোগপত্রে মহিলা জানান, মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। স্বামীও যায়। সেখানেই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিল বাবা। ফেরার পর দেখেন, মেয়ে অসুস্থ বোধ করছে, অচৈতন্য হয়ে পড়ছে বারবার।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত বাবাকে। মেয়ের মেডিক্যাল টেস্ট হয়। মেয়েটির মা ও কাকিমাকে মূল সাক্ষী হিসেবে রাখে পুলিশ। আদালতে শুনানি চলাকালীন হঠাৎই দুই সাক্ষী পাল্টি খান।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রঘুবংশ শর্মা জানান, আদালতে শুনানি চলাকালীনই ওই নাবালিকার মা সিদ্ধান্ত নেন, এই মামলা আর এগোতে চান না। তবে কোর্টও ওই নাবালিকাকে ন্যায্য বিচার দিতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বারবার দেখিয়ে দেখে। সাক্ষী সরাসরি সহযোগিতা না করলেও মেডিক্যাল এভিডেন্স ও অন্যান্য প্রমাণকে সামনে রেখে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত