Bangla News Dunia, দীনেশ :- হিন্দু নিপীড়নের ঘটনার অভিযোগ খণ্ডনে জাতীয় ঐক্য গড়তে দেশের ধর্মীয় নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকায় (Dhaka) অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের (Farhad Mazhar) একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন ইউনূস।
আরো পড়ুন :- আর অল্প সময়ের অপেক্ষা, রাতের আকাশে দেখা যাবে এক মহাজাগতিক বিস্ময়, আরও জানতে পড়ুন…..
জানা গিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কী এমন দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আছে, যে ব্রিটিশ আমলের আইনে তাঁকে জেলে আটকে রেখেছেন। কেন সরকার তাঁকে জামিন দিচ্ছে না। কেন জামিনের আর্জি জানাতে তিনি কোনও আইনজীবী পেলেন না।’ বাংলাদেশের সুশীল সমাজের এই প্রবীণ ও নামজাদা ব্যক্তিত্বর কথায়, ‘হিন্দু মন্দির ভাঙা, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন নির্যাতনের পাশাপাশি মাজার ভাঙা হচ্ছে। সুফি সমাজের মানুষ আক্রান্ত। মাজার ভাঙার ঘটনায় আপনার সরকার ক’জন মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে?’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বের দরবারে যে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘শুধু ভারতীয় মিডিয়ার দিকে আঙুল তুলে লাভ হবে না।’ গতকালের বৈঠকে সনাতন ধর্ম ঐক্য জোটকে ডাকা হয়নি, ধৃত চিন্ময় কৃষ্ণ যে সংগঠনের মুখপাত্র। ফরহাদ মজাহার প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, ‘যে সংগঠন সংখ্যালঘুদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে আপনি তাঁদেরই বৈঠকে ডাকেননি। কেন তারা আন্দোলন করছে, কেন বিপন্ন মনে করছে, সেগুলি তো প্রশাসনের শোনা দরকার।’ বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের পরামর্শ দেশে শান্তি ফেরাতে এখনই চিন্ময় কৃষ্ণকে মুক্তি দেওয়া হোক।
আরো পড়ুন :- মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন, দিলেন বড় আশ্বাস
তিনি যদি দেশদ্রোহিতামূলক কাজ করে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী প্রকাশ্যে জানাতে হবে সরকারকে। দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা করলেই চলবে না। অপরাধটা জানাতে হবে। তিনি বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিএনপির এক নেতা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল। বিএনপি তাদের সেই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। অথচ দেশদ্রোহিতার ধারায় হওয়া মামলাটি প্রত্যাহার করেনি। আবার পুলিশ সেই মামলার জেরে চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে জেলে আটকে রেখেছে।’ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন মানুষ তো তাঁর ধর্মের বিপন্নতার কথা বলতেই পারেন। এতে অন্যায়ের কী আছে, প্রশ্ন মাজহারের। চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়াকে শুধু ধর্মীয় নয়, মানবিক ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন তিনি।
আরো পড়ুন :- লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ মিলবে আরও সুবিধা, ২০২৬ এর আগেই বিরাট প্ল্যান মুখ্যমন্ত্রীর
ফরহাদ মজহার হলেন ইউনূসের বিশেষ সহকারি তথা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের রাজনৈতিক গুরু। গতকালের বৈঠকে মজহার গণ অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমরা ময়দানে থেকে ওই বিপ্লব সফল করেছি। সেই বিপ্লবের অঙ্গীকার ছিল এমন বাংলাদেশ গড়া হবে যেখানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ সেই অঙ্গীকারের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারাটা দেশের জন্য লজ্জার।’