Bangla News Dunia, Pallab : সময় যত এগোচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় এক টান টান পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অবস্থা এমনই যে প্রয়োজনীয় সামান্য দ্রব্যাদি কিনতে গেলেও ১০০০ এর বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তার উপর চাকরি ব্যবস্থার এই হাল। এই আবহে সংসারে যত টাকা আয় করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অস্তিত্ব লড়াইয়ের মাঝেই আমজনতা ব্যাঙ্ক-পোস্ট অফিসে সঞ্চয়ের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে।
তবে ভবিষ্যৎ এর সঞ্চয়ের কথা ভেবে অনেকেই টাকা সঞ্চয় করে চলেছে কম বেশি। তবে তার আগে ভালো করে সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে কোথায় একটু বেশি রিটার্নের সুবিধা মিলছে। আবার কোথায় মিউচুয়াল ফান্ড বা স্টকে বিনিয়োগ করলে দুর্দান্ত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। আর এই আবহে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (State Bank of India) তুলে ধরল এক দুর্দান্ত এবং চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে সঞ্চয়ের নিরিখে বিশ্বে ভারতের স্থান চতুর্থ। আর সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই এক ইতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছে দেশে।
আরো পড়ুন:– স্টেট ব্যাংকে নতুন করে ৬০০ টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ৪৮,০০০ টাকা, শীঘ্রই আবেদন করুন
সঞ্চয়ের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ভারত!
সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক SBI বা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া নাগরিকদের সঞ্চয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই রিপোর্টে বিশ্বব্যাপী প্রথাগত সঞ্চয়ের হার দাঁড়িয়েছে ২৮.২ শতাংশে। এদিকে সেখানে ভারতে প্রথাগত সঞ্চয়ের হার দাঁড়িয়েছে ৩০.২ শতাংশ। অর্থাৎ অনেকটাই ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। এদিকে ভারতকে ছাপিয়ে গিয়েছে চিন, ইন্দোনেশিয়া এবং রাশিয়া। চিনের প্রথাগত সঞ্চয় দাঁড়িয়েছে ৪৬.৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় প্রথাগত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮.১ শতাংশ এবং রাশিয়ার প্রথাগত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১.৭ শতাংশে। যদিও এই হেন মূল্যবৃদ্ধির অবস্থায় ভারতের এই চতুর্থ অবস্থান অর্থনৈতিক শিবিরে এক ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।
GDP তেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেশের
পাশাপাশি সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে অথবা SIP সম্পর্কেও SBI একটি রিপোর্ট পেশ করে। যেখানে জানানো হয়েছে ২০১৮ সালের তুলনায় SIP চলতি বছর বেড়েছে চার গুণ। বর্তমানে SIP অ্যাকাউন্টের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৮ কোটি। পাশাপাশি বেড়েছে স্টকে লগ্নিও। এক দশক আগে যেখানে ভারতের GDP তে শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের অবদান ছিল ০.২ শতাংশ। চলতি বছর আর্থিক বছরে তা বেড়ে এক শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।