সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের, আরজি কর দুর্নীতি মামলায় হাজার পাতার নথি জমা পড়ল আদালতে

আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলি অভিযোগ তুলেছিলেন, হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, বারবার তিনি সরব হলেও সন্দীপের ক্ষমতার কারণে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

আরো পড়ুন :- ভিক্ষুকের আবার অ্যাসিস্ট্যান্ট! এই কাহিনী পড়লে আপনি খিলখিলিয়ে হাসবেন…

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

তবে গত ৯ অগস্ট আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ হতেই এই মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতির অভিযোগ নতুন অভিমুখ পায়। উল্লেখ্য, সেই অভিযোগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন সন্দীপ ঘোষ।

সোমবার ২ ডিসেম্বর, সন্দীপের গ্রেপ্তার হওয়ার ৯০ দিন পূর্ণ হবে। তার আগেই চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সন্দীপ-সহ তাঁর তিন সাগরেদ বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা ও আফসার আলি খানের নামও সেখানে। রয়েছে আরজি করের হাউস স্টাফ আশিস পাণ্ডের নামও।

অভিযোগ ওঠে, ডাক্তারি পড়ুয়াদের ‘হাউসস্টাফশিপ’ নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে শেষ করার নিয়ম থাকলেও তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, তাঁর ঘনিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের সেই মেয়াদকাল খেয়াল খুশি মতো বাড়িয়ে দিতেন। শুধু তাই নয়, মেডিক্যালের সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডার থেকে শুরু করে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে সন্দীপের বিরুদ্ধে। চার্জশিটে এই বিষয়গুলির উল্লেখ রয়েছে বলে খবর।

অভিযোগ ওঠে, বিভিন্ন সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার নামে ঘনিষ্ঠদের বেআইনি ভাবে সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দিতেন সন্দীপ। হাসপাতালে বেআইনি পার্কিং বা ক্যাফের টেন্ডারের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বডিগার্ড আফসার আলির নাম জড়ায়। কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। চার্জশিটেও এই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরো পড়ুন :- ভারত এবং চিনের সম্পর্কে নতুন মোড় ! জানুন আসল সত্য

চার্জশিটে নাম থাকা ভেন্ডার বিপ্লব সিংহ ‘মা তারা ট্রেডার্স’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেডিক্যাল সরঞ্জামের বরাত পেতেন সন্দীপের এই সাগরেদ। সেই অভিযোগেই গ্রেপ্তার হন তিনি। চার্জশিটে এ নিয়েও বিস্তারিত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরার হাওড়ায় মেডিক্যাল সরঞ্জামের দোকান। সেখান থেকে সন্দীপ বেআইনি ভাবে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কিনতেন বলে অভিযোগ ওঠে। চার্জশিটে নাম থাকা আশিস পাণ্ডে আরজি করে ‘থ্রেট কালচার’-এর অন্যতম হোতা বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে অভিযোগ আসে। এমনও অভিযোগ, অযোগ্য হলেও সন্দীপের হাত মাথার উপর থাকার কারণে হাউস স্টাফ হয়েছিলেন আশিস। এ ছাড়াও এই দুর্নীতি মামলার আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।