Bangla News Dunia, Pallab : সালটা ছিল ২০১৯। একদিক থেকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা এবং অন্যদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হলেও তখনও অনিশ্চিত ছিল শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড (Sealdah Esplaned Metro) পর্যন্ত মেট্রো রুটের রাস্তা। কারণ সেই সময় বৌবাজারে মাটির নিচে মেট্রোরেলের কাজ চলার সময় মাটির উপর বড়সড় বিপর্যয় ঘটে। মাটি ধসে একের পর এক বাড়ি আংশিক ভেঙে যায় বা হেলে পড়ে। যার ফলে সেই সময় বড় প্রশ্ন ওঠে বৌবাজারের ভুগর্ভস্থ কাজ কবে শেষ হবে? এরপর বহু সমস্যা মোকাবিলা করার পর অবশেষে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সফলভাবেই বৌবাজার পেরিয়ে গেল মেট্রোরেল।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বড় সাফল্য মেট্রো রেলের
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ট্রায়াল রানের জন্য গতকাল রাতেই একটি ট্রেন এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত থার্ড লাইন-এ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও সম্পন্ন করেছে মেট্রো। শেষমুহূর্তে সবকিছু ঠিকঠাক পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে ট্রায়াল রানের জন্য তৈরি ছিল সকলে। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে ট্রায়াল রান শুরু হয়। ট্রায়ালের সময় শিয়ালদা থেকে একটি মেট্রো রেক এসপ্ল্যানেডের উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল ১১ টা ৩১ মিনিটে পৌঁছায় এসপ্ল্যানেডে। অর্থাৎ ২.৬৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লেগেছে ১১ মিনিট লেগেছে।
ট্রায়াল রান সাফল্যে সকলের মুখে তৃপ্তির হাসি
আসলে যেহেতু ট্রায়াল রান তাই সেই সময় মেট্রো খুব ধীরে ধীরে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড-এর দিকে চালানো হয়েছিল। কিন্তু যখন পরিষেবা পুরোপুরি চালু হবে, তখন চোখের নিমেষে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেডে পৌঁছানো যাবে। তবে প্রথমদিনে ট্রায়াল খুবই সাফল্য অর্জন করেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মেট্রোর এক কর্মকর্তা জানান ট্রেনটি যখন নির্বিঘ্নে বৌবাজার পেরিয়ে যায় তখন সকলের মুখেই ছিল তৃপ্তির হাসি। জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডিনিজে গোটা পথ পর্যবেক্ষণ করতে করতে গিয়েছিলেন।
মেট্রো রেলের এই দারুণ সাফল্যের পর কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান পি. উদয় কুমার রেড্ডি মেট্রোর বাকি কর্মকর্তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এমনকি এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে ট্রায়াল রানের পর তিনি মেট্রো রেলওয়ে এবং কেএমআরসিএল-এর কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকও করেন। আশা করা যাচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের এই অংশটি চালু হলে এক কথায় দারুণ সুবিধা হবে যাত্রীদের। মেট্রোর ইতিহাসে এক নয়া ঐতিহাসিক মুহূর্ত গড়ে উঠবে।