Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সম্পর্কটা সমানুপাতিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়ে গেল ব্যস্তানুপাতিক! বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ করার সময়সীমা বেড়েই চলেছে। উল্টো দিকে কমছে লক্ষ্যমাত্রা। গোড়ায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এক কোটি সদস্য করার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল বঙ্গ–বিজেপিকে। সময়সীমা বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ৫ জানুয়ারি!
আর টার্গেট কমে ঠেকেছে ৫০ লক্ষে! যা দেখে এক প্রবীণ বিজেপি নেতার টিপ্পনি, ‘যে ভাবে হোক পরীক্ষায় আমাদের পাশ করতেই হবে। তাই পাশ মার্কস কত হবে, সেটা নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছি।’
গোটা দেশ জুড়ে বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল। ৩০ নভেম্বর সেই কর্মসূচি শেষ হয়ে গিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ। লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারায় এখানে শুধুই ‘তারিখ পে তারিখ’। ৩০ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর। তাতে এক কোটি সদস্যের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে না পারায় সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অতিরিক্ত সময় পেয়েও ‘সদস্য সংগ্রহ পরীক্ষায়’ উতরোতে পারেননি এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। তাই আরও একটি সুযোগ।
এ বার সময়সীমা বাড়ল ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু তাতেও কি এ রাজ্য থেকে বিজেপির এক কোটি সদস্য হবে? বিজেপিরই একাংশ বলছেন, অসম্ভব। সবে ৩৫ লক্ষ সদস্য হয়েছে। টার্গেট ছুঁতে হলে এখনও ৬৫ লক্ষ মানুষকে দিয়ে মিসড কল দেওয়াতে হবে নির্দিষ্ট টোল ফ্রি নম্বরে। এ সহজ কাজ নাকি!
আরো পড়ুন:– ১১ নম্বরে রোজ ১১১ মিনিট! আয়ু বাড়ায় ১১ বছর, দাবি গবেষণায়। বিস্তারিত জানুন
তা হলে উপায়?
হাল ছাড়েননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা বঙ্গ–বিজেপিকে ‘পাশ’ করাতে বদ্ধপরিকর। তাই পাশ নম্বরই কমিয়ে দেওয়া হলো! গত শুক্রবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, সেখানে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দুর অধিকারীও হাজির ছিলেন। ওই বৈঠকে বনসল এক কোটির বদলে ৫০ লক্ষ সদস্য ৫ জানুয়ারির মধ্যে করে ফেলার টার্গেট দিয়েছেন বঙ্গ–বিজেপিকে।
বনসলকে তাঁরা জানান, গত শুক্রবার পর্যন্ত তাঁরা ৩৫ লক্ষ সদস্য করতে পেরেছেন। এরপরই ঠিক হয়, এক কোটি সদস্য করার স্বপ্নে বিভোর থেকে লাভ নেই। টার্গেট অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ লাখ করে দেওয়া হোক। সময়সীমাও ৩১ ডিসেম্বরের পর আরও পাঁচদিন বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তাতে যদি পাশ করে বঙ্গের পদ্ম–ব্রিগেড! এক বিজেপি নেতা হেসে বলেন, ‘পাশ আমরা করবই। যেখানে গিয়ে আমরা থামব, সেটাই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ধরে নিতে হবে।’
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা বাংলায় দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ভারপ্রাপ্ত নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সাফাই, ‘আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা এবং সময়সীমা দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভা নয়। আমাদের এই কর্মসূচি নিয়ে বাজারে যে তথ্য ঘুরছে, তা বাস্তব থেকে অনেক দূরে।’ তৃণমূলের রাজ্য সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের খোঁচা, ‘বঙ্গ–বিজেপি মানেই তারিখ পে তারিখ। তারিখ বদল করেও টার্গেটের ধারেকাছে পৌঁছতে পারছে না। এ রাজ্যে বিজেপির দোকানদারি বেশিদিন চলবে না।’
আরো পড়ুন:– ভয়াবহ ১০ বিপর্যয় যা বিপুল ক্ষতি করেছে এ বছরে, জানুন বিস্তারিত
আরো পড়ুন:– জ়িনাতকে ধরতে বন দপ্তরের সফল অভিযানকে কুর্নিশ মমতার, কী লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী?