Bangla News Dunia, দীনেশ : সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর নিয়ে আসল রাজ্য সরকার। রাজ্যের আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বড় ঘোষণা করেছেন। এবার আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসকদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হল। এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ছে।
অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি
সাধারণত সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স হয় ৬০ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা কিছুটা বাড়ানো হয়। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব ঘোষনা করেছে যে, আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসকদের অবসরের বয়সসীমা ৩ বছর বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে।
গত সোমবার ভোপালের কুশিলাল আয়ুর্বেদিক সংস্থানে ‘আয়ুর্বেদ মহাপর্ব ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকরা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অভিজ্ঞতাকে আরো কয়েক বছর কাজে লাগানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:– কোন ব্যাঙ্ক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়া সুবিধাজনক? প্রসেসিং চার্জ কার বেশি? রইল তালিকা
আয়ুর্বেদের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য
উক্ত অনুষ্ঠানে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার প্রাচীন রীতির প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব। তিনি বলেছেন ৪ হাজার বছরের পুরনো আয়ুর্বেদ আজও তার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব ধরে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ এবং আয়ুর্বেদকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এটাই প্রমাণ করে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব কতটা এই ভারতে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসকদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। এখন থেকে মেডিকেল কলেজ বা নার্সিংহোম স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে নয়, সরাসরি আয়ুষ বিভাগের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করা হবে।
সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির আবহ
সরকারি চিকিৎসকদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির ফলে তাদের ভবিষ্যৎ আরো সুরক্ষিত হয়েছে তা বলা যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা আরো কয়েক বছর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করতে পারবে এটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন :- স্টেট ব্যাঙ্ক সবার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৩৬ টাকা কেটে নিচ্ছে, জানুন কেন কাটা হচ্ছে এই টাকা ?
সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সরকারি কর্মরত চিকিৎসকদের জন্যই নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ থাকায় রোগীরাও উন্নত পরিষেবা পাবে তা বলা যায়।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপ আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। কর্মীদের জন্য এরকম সিদ্ধান্ত যেমন আনন্দের খবর, তেমনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতেও এটি বড় ভূমিকা পালন করবে তা বলা যায়।
আরো পড়ুন :- ঝাঁ চকচকে সেলুনে ঢুকে পড়লো একটা গরু, তারপর যা ঘটলো জানলে মজা পাবেন আপনি