সর্ষের মধ্যেই এত ভূত! অবাক হেলে পড়া ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বহুতল নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার পর থেকেই অনিয়মের অভিযোগ ছিল বাঘাযতীন লাগোয়া বিদ্যাসাগর কলোনির হেলে পড়া চারতলা ফ্ল্যাটটি ঘিরে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একটু একটু করে বেরিয়ে আসছে সেই অনিয়মের ছবি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই আবাসন তিনতলা না চারতলা হবে, তা নিয়েও ২০১২ সাল নাগাদ পাড়ায় ইমারতি দ্রব্যের সাপ্লায়ারদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারপরেও দু’কাঠা আট ছটাক জমিতে গড়ে ওঠা চার তলা বহুতলে বের হয় আটটি ফ্ল্যাট। ছ’জন ওই ফ্ল্যাট কেনেন। দু’টি থাকে ডেভেলপারের মালিকানায়।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সব জেনে শুনেও কেন ফ্ল্যাট কিনলেন বিপন্ন বাসিন্দারা?

আরও পড়ুন:– ফের ভারতে আসছেন মেসি, কবে-কোথায় দেখা যাবে বাঁ-পায়ের জাদু?
 

ওই হেলা বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরের বাসিন্দা অভিজিৎ বক্সী বলেন, ‘তুলনামূলক সস্তায় পেয়ে ১৭ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটা কিনেছিলাম। কেনার পরে আমি ডেভেলপারের কাছে ইলেকট্রিকের জন্য নিজের মিটার চেয়েছিলাম। ডেভেলপার দশ হাজার টাকা চান। দিয়েওছিলাম। পরে ডেভেলপার আমাকে চারতলায় তাঁর নিজের ছেলের নামে যে ফ্ল্যাট ছিল, সেই ফ্ল্যাট নম্বরে মিটার দেন। পরে আমি টাকা খরচ করে নিজে মিটার আনি।’

ফ্ল্যাটের আরও এক বাসিন্দা সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘২০১৩–তে ফ্ল্যাট বুক করেছিলাম। তখন বাড়িটি হচ্ছিল। দেখে বুঝতে পারিনি, এত অনিয়ম ছিল।’ ওই বাড়ির আরও এক বাসিন্দা রূপা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। অত নিয়মকানুন বুঝি না, তবে একটু সুখে থাকতে চাই। তাই কিনেছিলাম। এ বার ঠকে শিখলাম।’ ঠকার পরে তাঁরা এও স্বীকার করছেন, ফ্ল্যাট বা জমির মতো সম্পত্তি কেনার আগে কাগজপত্র যে ভালো করে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কপাল চাপড়েও আজ সেই ভুল শুধরে নিতে পারছেন না।

শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘বিদ্যাসাগরের ফ্ল্যাট ওনার্সরা ভুল করেছেন। এতগুলো টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনছেন, কাগজপত্র সব দেখে কিনবেন না! তবে পুরসভা ওঁদের পাশে আছে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’

সূত্রের খবর, পুরসভার তদন্তে জানা যাচ্ছে চারতলার কোনও অনুমোদনই ছিল না। তা ছাড়া, জমির একাংশে জলাজমি থাকলেও তার পাইলিংয়ে গুরুতর ঘাটতি ছিল। সয়েল টেস্টের কোনও রিপোর্ট ছিল না। দু’কাঠা আট ছটাক জমিতে গড়ে ওঠা ফ্ল্যাটের চারপাশে যে পরিমাণ জমি ছাড়ার কথা, তা–ও ছাড়েননি ডেভেলপার। বিল্ডিং হেলে পড়ার পরেও পুরসভাকে কিছু না–জানিয়ে, লিফটার এজেন্সি নিয়োগ করলেও কোনও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের অনুমতি নেওয়া হয়নি।

অভিযোগ, বাড়িটি অল্প হেলে পড়ার পরে বায়ার্সরা দফায়–দফায় ডেভেলপারের কাছে গেলেও তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। পরে বায়ার্সদের চাপেই লিফটার এজেন্সির ব্যবস্থা করেন। তাঁরা জানান, বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ডেভেলপার তাঁর মালিকানায় থাকা দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে কার্বন ক্রেডিট কার্ড। কি কি সুবিধা মিলবে? জেনে নেওয়া যাক

আরও পড়ুন:– ৩০ লাখ পথ কুকুর হত্যার নিদান মরক্কোর, কেন এমন সিদ্ধান্ত ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন