সিগন্যাল নেই ? এবার যেকোনো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন BSNL, Jio, Airtel-র গ্রাহকরা !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : বর্তমানে খাদ্য, জল এবং পোশাক ছাড়াও জীবনে এক দরকারি এবং প্রয়োজনীয় অন্যতম উপাদান হল মোবাইল ফোন। কারণ নিত্যদিনের সবরকম কাজের জন্য এখন প্রায় ২৪ ঘণ্টাই দরকার হয় মোবাইল ফোনের। গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন অনায়াসেই করা যায় কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। শুধু কাজের সুবিধাই নয়, তথ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল সুরক্ষিত রাখা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কয়েকটি এলাকায় বা প্রত্যন্ত গ্রামের দিকে গেলে একদমই টাওয়ার পাওয়া যায় না। নেটওয়ার্ক একদমই লো থাকে।

আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

নয়া উদ্যোগ নিল DoT!

ঘুরতে গেলেও একই সমস্যার মুখে পড়তে হয় মোবাইল ব্যবহারকারীদের। মোবাইল হাতে নিয়ে উপর নীচ করলেও মেলে না কোনো নেটওয়ার্ক। সে যতই Jio, Airtel, Vi অথবা BSNL ব্যবহার করুক না কেন। বেজায় সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরা। তবে এবার গ্রাহকদের এই নেটওয়ার্ক সমস্যার জট কাটাতে কেন্দ্রের DoT এক বড় বিবৃতি জারি করল। জানা গিয়েছে গত ১৭ জানুয়ারী, শুক্রবার ‘ভিশন ফর ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড মিশন ২.০ এবং ‘ডিজিটাল ভারত নিধি’ তহবিলে তৈরি ফোর–জি সাইটগুলিতে ইন্ট্রা সার্কেল রোমিংও চালু করা হয়েছে।

এখন থেকে সব জায়গায় মিলবে 4G সংযোগ

আসলে ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং হল যে কোনও নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারীরা একটি একক DBN-অর্থায়িত টাওয়ারের মাধ্যমে 4G পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবে। আর কোনোরকম নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যায় ভুগতে হবে না। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের গ্রাহকরা মাত্র একটি টাওয়ার থেকে 4G সংযোগ উপভোগ করতে পারবেন। লাগবে না একাধিক টাওয়ারের প্রয়োজনীয়তা। অনেকটাই কমবে ইনস্টলেশনের খরচ। জানা গিয়েছে এই উদ্যোগের ফলে এই প্রায় ২৭,০০০ টাওয়ার ব্যবহার করে ৩৫,৪০০টিরও বেশি গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত গ্রামে নির্ভরযোগ্য 4G সংযোগ বাড়ানো হতে চলেছে। এক কথায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই নব উদ্যোগে একদিকে যেমন উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমনই অনেক খরচ কমবে।

কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া?

এছাড়াও ওইদিন উদ্বোধনের সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই নয়া উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসাবে বর্ণনা করেন। সিন্ধিয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য গ্রামে প্রতি ১০০ পরিবার পিছু কমপক্ষে ৬০টি পরিবারের কাছে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেওয়া। আমরা ন্যূনতম ১০০ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড দিতে চাই এবং এ জন্য ভারতের গ্রামগুলিতে শক্তিশালী ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।’

আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন