Bangla News Dunia , Rajib : সুকান্ত মজুমদারের নামে নাদনঘাট থানায় সম্মানহানির চেষ্টার অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ দায়ের করেন পূর্বস্থলী-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাজকুমার পাণ্ডে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ইন্ধনে স্থানীয় স্কুলের জমি বেহাত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। তার জেরেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার কালনায় কর্মী সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ইন্ধনে স্থানীয় স্কুলের জমি বেহাত হয়েছে। তিনি তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে বলেছেন। হাইকোর্টে মামলা করে সিবিআই তদন্ত চাইবেন। এই মন্তব্য ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয় জেলায়। তার জেরেই সোমবারই নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজকুমার।
রাজকুমারের দাবি, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে এই কথা মানহানির সামিল। এই বক্তব্যে এলাকার লোকজন মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন বলেও অভিযাগপত্রে লেখেন তিনি। রাজকুমার পাণ্ডে জানান, যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁর ভাবনা চিন্তা করে কথা বলা উচিত। কারও সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়, এমন অপ্রচার কখনওই মানা যায় না।
অভিযোগকারী রাজকুমার পাণ্ডের কথায়, ‘সোমবার সুকান্ত মজুমদার আলটপকা একটা মন্তব্য করেছেন। উনি বোধহয় জানেন না, এই এলাকায় স্বপন দেবনাথ জনপ্রতিনিধি বা মন্ত্রী হিসাবেই শুধু পরিচিত নন। রাজনীতির বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এলাকার উন্নয়নে মানুষ তাঁর উপর ভরসা করেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এতে ভোটারদের খারাপ লেগেছে। তাই নাদনঘাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। মহকুমা জুড়ে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
স্বপন দেবনাথও সোমবারই জানিয়েছিলেন, এই ধরনের কথার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। মানহানির মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। স্কুলের জমি কী ভাবে বিক্রি করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘স্কুলের জমি কখনও জমি বিক্রি করা যায়? একজন দায়িত্বশীল নেতা এ কথা বলতে পারেন? একজনকে আক্রমণ করতে এভাবে মিথ্যা বলা যায়? উনি অধ্যাপনা করেন, লেখাপড়া জানা লোক। উনি যা বলেছেন তা ওনাকে প্রমাণ করতে হবে।’