Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে এ বার বেলাগাম আক্রমণ করলেন আওয়ামি লিগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ইউনূসকে ‘সুদখোর কুমির’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউনূসকে ‘জঙ্গিবাদী শাসক’ হিসেবেও উল্লেখ করেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবি, ‘যত তাড়াতাড়ি ইউনূসকে সরানো যাবে, ততই দেশের মঙ্গল হবে।’ রবিবার, দক্ষিণ কোরিয়ার আওয়ামি লিগের কর্মীসভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন হাসিনা। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের মানুষের উপর করের বোঝা চাপিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর ভ্যাট এবং শুল্ক চাপানো হয়েছে। এই নিয়েও ইউনূসকে নিশানা করেন হাসিনা। তাঁর দাবি, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আয়ের কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের উপর কর চাপাচ্ছেন ইউনূস। এই কর চাপানোর নৈতিক অধিকার ইউনূসের নেই।
আরও পড়ুন:– মহিলাদের প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। চালু হল নতুন প্রকল্প। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?
বাংলাদেশে মন্দির-গির্জার পাশাপাশি মাজারের উপরেও এখন যে হামলা হচ্ছে তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন আওয়ামি লিগের সভাপতি। এ দিন তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবার উপর নির্যাতন হচ্ছে। ইউনূস সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়া ছারখার করে দিচ্ছে। এই ‘জঙ্গিবাদী শাসকের’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’ হাসিনার দাবি, ‘এই সুদখোর কুমির, মানবতাবিরোধী ইউনূসের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। এখন চারদিকে শুধু হাহাকার। আজ জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখোমুখি। যত তাড়াতাড়ি ইউনূসকে সরানো যাবে ততই দেশের মঙ্গল হবে। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না। ইউনূস বিদায় নিলে তাঁরা শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।’
সম্প্রতি অস্ত্র পাচার মামলায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। যেভাবে তাঁকে এবং ওই মামলায় অন্যদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাজা মকুব করে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী হয়ে একইভাবে খুনিদের মন্ত্রী করেন এবং দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন। এখন ইউনূস দেশবিরোধী অপরাধী এবং জঙ্গিদের জেল থেকে মুক্ত করে দিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বানিয়েছেন।’
বাংলাদেশে সংবিধান বদল করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেখান থেকে ধর্মনিরেপক্ষতা কথাটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা। তাঁর দাবি, ‘জনগণের তৈরি সংবিধান বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউনূসের সেই নৈতিক এবং আইনি অধিকার নেই।’ অন্তর্বর্তী সরকারের সব নির্দেশই অবৈধ বলেও দাবি করেন হাসিনা।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত