Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশে ট্রেন চলাচল সোমবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একাধিক দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। দাবি মানা না হলে সোমবার মাঝ রাত থেকেই তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। যদিও রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি যাতে না হয় সেই চেষ্টা হচ্ছে। তবে, নিজেদের অবস্থানে অনড় ওই কর্মচারী সমিতি। তাঁদের দাবি, দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যাত্রীরা। সোমবার রাত ১২টার পর থেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা কী করবেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি জানিয়েছে, ২০৩৬ জন রানিং স্টাফ থাকা দরকার। রয়েছেন মাত্র ১০৩৬জন। এই জন্য তাঁদের অনেক বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, ট্রেনের চালক, গার্ড, টিকিট চেকার-সহ অন্যরা ‘ডিউটি’ শেষ হওয়ার পরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্রাম পান। কিন্তু বিশ্রামের সময়ে কাজ করলে তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা এবং সুবিধা দেওয়া হয়। এটা ‘মাইলেজ সুবিধা’ হিসেবে পরিচিত।
কিন্তু এখন ‘আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা’ বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়েছে। এই সঙ্গে তাঁদের পেনশন এবং অন্য সুবিধার সঙ্গে মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া ভাতা যোগ করার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, এই সুবিধা আবার চালু করার দাবি জানিয়ে তাঁরা তিন বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন। বিভিন্ন সময়ে রেলমন্ত্রী এবং রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা আশ্বাস দেওয়ায় তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন। এখন জানানো হয়েছে, তাঁরা রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনও ভাতা পাবেন না। এই ভাতার পরিমাণ মূল বেতনের বেশি হবে না। এর প্রতিবাদেই কর্মবিরতি শুরু করার ডাক দেওয়া হয়েছে।
ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই তাঁরা ট্রেন চালানো বন্ধ রাখবেন। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো না হলে এর থেকে পিছিয়ে আসবেন না। যদিও রেল মন্ত্রকের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁরা চান না কর্মীরা আন্দোলন শুরু করুক। তাঁদের সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের আলোচনা চলছে।