স্ক্যান করবে জমির প্রতিটি ইঞ্চি ! বিশ্বের সবথেকে দামি স্যাটেলাইট লঞ্চ করবে ISRO

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

isro

Bangla News Dunia, Pallab : ২০২৫ সাল পড়ে গিয়েছে। এদিকে নতুন বছরে চমক দেওয়ার জন্য একদম কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পরতে চলেছে ISRO। জানলে অবাক হবেন, নতুন বছরেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organisation)। মার্চে এটি চালু হতে পারে।

সবথেকে দামী স্যাটেলাইট লঞ্চ করতে চলেছে ISRO

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ইসরো ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA যৌথভাবে এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে। সবথেকে বড় চমক হল এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ, যা শুনলে আপনারও চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, সবথেকে ব্যয়বহুল স্যাটেলাইটটি লঞ্চ করতে খরচ হবে ১২,৫০৫ কোটি টাকা এবং এটিকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপগ্রহ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ২০২৫-এ কেমন হবে ভারতের সঙ্গে রসায়ন? জানালেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

ইসরো জানিয়েছে, নতুন এই স্যাটেলাইট প্রতি ১২ দিনে পৃথিবীর জমির প্রতি ইঞ্চি স্ক্যান করবে। এটি বিশ্বজুড়ে বাস্তুতন্ত্রের ব্যাঘাত এবং পরিবর্তিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করবে। অর্থাৎ এর সাহায্যে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস অনেকাংশে পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বছরে ইসরোর এই মিশনকে আলাদা চোখেই দেখা হবে।

ইসরো-র NISAR

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ইসরোর নতুন এই স্যাটেলাইটটির নাম কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে NASA ISRO Synthetic Aperture Radar (NISAR)। এর ওজন ২ হাজার ৬০০ কেজি। নাসা এবং ইসরো ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিসার মিশনে সহযোগিতা করতে এবং এটি চালু করার জন্য একটি অংশীদারিত্বে প্রবেশ করেছিল। মিশনটি ২০২৪ সালে চালু করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।

নাসা এই মিশনের জন্য এল-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার, বৈজ্ঞানিক তথ্যের জন্য একটি উচ্চ-হারের যোগাযোগ সাবসিস্টেম, জিপিএস রিসিভার, একটি সলিড-স্টেট রেকর্ডার এবং পেলোড ডেটা সাবসিস্টেম সরবরাহ করছে। ইসরো এই মিশনের জন্য মহাকাশযান, এস-ব্যান্ড রাডার, লঞ্চ ভেহিকল এবং সম্পর্কিত লঞ্চ পরিষেবাও সরবরাহ করছে। ইসরোর জিএসএলভি-এমকে২ রকেটের মাধ্যমে সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। স্যাটেলাইটটিতে এল-ব্যান্ড এবং এস-ব্যান্ড রাডার সিস্টেম রয়েছে। এল-ব্যান্ড রাডার ছোট পৃষ্ঠের গতিবিধি সনাক্ত করতে সক্ষম এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড রাডার চিত্রের রেজোলিউশন বাড়ানোর জন্য কাজ করবে। এটিতে একটি 39-ফুট অ্যান্টেনা প্রতিফলকও রয়েছে, যা সোনার ধাতুপট্টাবৃত জাল দিয়ে তৈরি।

আরও পড়ুন:– বিমানযাত্রীদের জন্য সুখবর, ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও মিলবে Wi-Fi পরিষেবা, কিভাবে এই সুবিধা পাবেন ? জানুন

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন