স্ত্রীকে কেটে টুকরো করে কুকারে সিদ্ধ স্বামীর, পড়ুন হাড়হিম করা ঘটনা

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না এক মহিলার। তাঁর পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নামার পরেই সন্দেহের তির বেঁকে যায় মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে সামনে এল শিউরে ওঠা খুনের ঘটনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের খুনের ঘটনা কবুল করেছে ওই মহিলার স্বামী। ঘটনাটি হায়দরাবাদের।

জানুয়ারির মাঝামাঝি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন পুট্টাভেঙ্কট মাধবী নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা। ১৬ জানুয়ারি মাধবীর বাবা-মা পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে মীরপেট থানা। ওই মহিলার স্বামী গুরু মূর্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গুরু দাবি করেছিল, বেশ কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায়, তার স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কোনও আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছে বলেও দাবি করেছিল সে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ যত এগোয়, গুরুর প্রতি সন্দেহ বাড়তে থাকে পুলিশের। এর পরে টানা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে গুরু মূর্তি। রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে সে।

আরও পড়ুন:– বিপাকে দিঘার ২৪টি হোটেল, বাসি খাবার বিক্রি, ধরা পড়ল আরও অনেক কিছুই

স্ত্রীকে খুনের ভয়াবহ বিবরণ দিয়েছে গুরুমূর্তি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে গুরু দাবি করেছে রাগের মাথায় খুন করার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য একাধিক কাজ করেছে সে। বাড়ির শৌচাগারে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছে। তার পরে দেহাংশগুলো কুকারে সিদ্ধ করেছে। এর পরে হাড় আলাদা করে, সেগুলোকে গুঁড়ো করে আবার আলাদা করে সিদ্ধ করেছে। অন্তত ৩ দিন ধরে ক্রমাগত এই কাজ করে, সবকিছু প্যাকেটবন্দি করে একটি জলাশয়ে ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে গুরু।

বুধবার রাত পর্যন্ত নিহতের দেহাংশের কোনও অংশ পুলিশ খুঁজে পায়নি। গুরুমূর্তি যে যে দাবি করেছে, সেই দাবি অনুযায়ী পারপার্শ্বিক প্রমাণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একাধিক পুলিশ টিম এবং ডগ স্কোয়াডকে এই কাজে নামানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গুরু মূর্তির সঙ্গে মাধবীর বিয়ে হয়েছিল ১৩ বছর আগে। হায়দরাবাদের বাসিন্দা এই পরিবারটি। আগে সেনায় কাজ করত গুরুমূর্তি, বর্তমানে একটি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করে। এই দম্পতির ২টি সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন তারা এক আত্মীয়ার বাড়ি গিয়েছিল।

নিখোঁজ ডায়েরি হিসেবে তদন্ত শুরু হলেও, এটি কিছুদিনের মধ্যেই খুনের মামলায় পরিণত হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যেহেতু এখনও দেহাংশ পাওয়া যায়নি, তাই আপাতত নিখোঁজ মামলা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:– প্রথম দিনেই সাবস্ক্রিপশনের ঢল, এই IPO-তে লগ্নি করলে বাম্পার লাভ হতে পারে

আরও পড়ুন:– মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশে ভারতীয় কোস্ট গার্ডে প্রচুর নাভিক নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ২১,৫০০ টাকা

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন