স্বাধীনতার এত বছর পর এই প্রথম গ্রামে এলো টিভি, কিন্তু এতো দেরি করে কেন? জানুন

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১৯৫৯ সালে ভারতে টেলিভিশন ব্রডকাস্ট শুরু হয়। এখন তো পুরোদমে ওটিটির জমানা। অথচ ২০২৪ সালের উপান্তে দাঁড়িয়ে প্রথম বার টেলিভিশন চাক্ষুষ করল মাওবাদী উপদ্রুত ছত্তিসগড়ের সুকমা জেলার ছোট্ট গ্রাম পূবর্তী। সম্প্রতি সোলার পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের একটি বাড়িতে দূরদর্শন চ্যানেল দেখানো হয়। স্বাধীনতার পর প্রথম বার সেখানকার মানুষ দেখল, টেলিভিশন কী জিনিস। গ্রামের মেয়ে, বুড়ো থেকে কচিকাঁচা, ভিড় করেছিল সেখানে।

ছত্তিসগড় রাজ্য পুনর্নবীকরণ শক্তি উন্নয়ন সংস্থা বা ক্রেডা (State Renewable Energy Development Agency)-এর উদ্যোগে প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখল বরসে দেবা, মাদভী হিদমাদের গ্রামের লোকেরা। ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন সেটের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে সেট-টপ বক্সও। ১০০টির কাছাকাছি চ্যানেল দেখা যাবে। এর আগে পূবর্তীতে সোলার লাইট, পাখাও দিয়েছে ক্রেডা।

আধিকারিকরা জানান, বাচ্চারা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান থেকে কার্টুন, সবই দেখতে পাবে এ বার থেকে। এ দিন যখন চোখের সামনে এগুলি দেখছিলো, খুশিতে ওরা একেবারে প্রাণময় হয়ে উঠছিল। গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চলতি বছরের একেবারে শুরুর দিকে সিলগার ও তেকালগুদেম গ্রামেও আলো, পাখার ব্যবস্থা করা হয়।

পূবর্তীর তুমলপাড়ার বাসিন্দা নুপ্পো হিদমা বলেন, সোলার লাইট আসার পর আমাদের রাতে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা হয়েছে। এ বার টেলিভিশনও এলো। শিক্ষামূলক বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা হবে। তাঁরা ভাবতেও পারেননি, তাঁদের গ্রামে টিভি আসবে। তাঁরাও বাড়িতে বসে খবর, সিরিয়াল, সিনেমা দেখবে। নিজের গ্রামে বসেই গোটা বিশ্বের সঙ্গে জুড়ে যাবে।

সিলগার, তেকালগুদেম, পূবর্তী সুকমা-বিজাপুর সীমানায় অবস্থিত। একেবারে কোর নকশাল এরিয়ার মধ্যে পড়ে। জেলাশাসক দেবেশকুমার ধ্রুবের বক্তব্য, শুধু গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলির দিকে নজরই নয়, সাসটেনেবল এনার্জি ও প্রকৃতি রক্ষাও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সে কারণেই সৌরশক্তির ব্যবহারে এখানে জোর দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:- নতুন শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিকের 19টি বিষয়ে পাঠক্রম বদল, কোন কোন বিষয়? জেনে রাখুন

মন্তব্য করুন