Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মা এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে জেনারেল বেডে। কিন্তু বাঁচানো গেল না তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হল রেখা সাউয়ের পুত্রসন্তানের। ঠিক এক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবারই রেখার কোল আলো করে এসেছিল এই শিশু। আজ, বৃহস্পতিবার সব শেষ! জুনিয়র ডাক্তারদের অস্ত্রোপচার, স্যালাইনকাণ্ডের আবহে যে পাঁচ প্রসূতি বারবার শিরোনামে উঠে আসেন, সেই তালিকায় ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা সংলগ্ন খাকুড়দার বাসিন্দা রেখা।
৮ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ৭ জন প্রসূতির সিজ়ার হওয়ার কথা ছিল। সেই তালিকায় শেষ নাম ছিল সন্তোষ সাউয়ের স্ত্রী রেখার। বাকিদের হাসপাতালের স্যালাইন দেওয়া হলেও, রেখার স্বামী স্ত্রীর জন্য বাইরে থেকে স্যালাইন এনে দেন। তবে সন্তোষের দাবি ছিল, ডাক্তাররা সে সময় বলেছিলেন, মুচলেকায় সই করতে হবে।
আরও পড়ুন:– ‘বিষাক্ত’ দিল্লির বাতাস, সামাল দিতে GRAP 4-এ ফিরল দেশের রাজধানী, বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন:– আপনি কি খুব চাপে আছেন, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার বলে দেবে অনেক কিছু
কী মুচলেকা? এই সময় অনলাইনকে সন্তোষ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকরা জানান, স্ত্রীর অবস্থা ভালো না। স্ত্রী ও সুস্থ সন্তানের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়। বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলে সন্তোষ স্ত্রীকেই বেছে নেন। সন্তানের জন্মও দেন রেখা। রেখাকে জেনারেল বেডে রাখা হলেও, শিশুটি প্রথম দিন থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিল।
বুধবারও চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। অবস্থা সঙ্কটজনকই। রেখার স্বামী সন্তোষও বলেছিলেন, ‘৯৯ শতাংশ খারাপ, মাত্র ১ শতাংশ উন্নতি হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ভোরে সাত দিনের শিশুর লড়াই থামল।
মেদিনীপুর মেডিক্যালসের শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, ‘এ দিন সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিল। আমরা সমস্ত চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, চিকিৎসায় তেমনভাবে সাড়া দেয়নি।’ মন শক্ত করেই রেখেছিলেন সন্তোষ। তবু কোথাও যেন নিভু আঁচের মতো বাঁচছিল আশা, যদি খোকা বাঁচে! বাঁচানো গেল না। সন্তোষের মন্তব্য, ‘এ দায় কার, তা মানুষই বলুক।’ ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:– হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের খবরে হুহু করে বাড়ল আদানি গোষ্ঠীর স্টকের দাম
আরও পড়ুন:– সরকারি কর্মীরা পাবেন 25 লাখ টাকা। অবসরের পর বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করল সরকার। দেখে নিন বিস্তারিত