Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গরিব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার বন্ধ হতে চলেছে সরকারের বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা (Free ration in India). আর বিনামূল্যে পাওয়া যাবে না চাল, আটা ইত্যাদি। তবে কি আগের মতো পয়সা দিয়ে কিনতে হবে? করোনা অতিমারীর সময় দরিদ্র মানুষের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছিল এই প্রকল্প, যা এতদিন ধরে দেশের কোটি কোটি Ration Card গ্রাহকদের উপকৃত করেছে। কিন্তু কেন এই সুবিধা বন্ধ করা হচ্ছে? হঠাৎ কী এমন ঘটল যার কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো? জেনে নিন বিস্তারিত।
কেন বন্ধ হচ্ছে বিনামূল্যের রেশন?
সম্প্রতি নীতি আয়োগের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে প্রায় ২৪ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যের সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই তথ্যকে সামনে রেখে মনে করা হচ্ছে যে, বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই। সরকারের ধারণা, যারা এখন নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম, তাদের জন্য রেশন ব্যবস্থার বোঝা বহন করা আর সম্ভব নয়।
রেশন কিনতে হবে পয়সা দিয়ে?
সরকার ইতিমধ্যে এক নতুন প্রস্তাব এনেছে, যার মাধ্যমে রেশন কার্ড গ্রাহকদের থেকে সামান্য পরিমাণ অর্থ নেওয়া হতে পারে। প্রতি কেজি চাল, আটা বা অন্যান্য রেশন সামগ্রীর জন্য ১ থেকে ১.৫ টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতদিন যারা একেবারে বিনামূল্যে রেশন (Free Ration) পেতেন, এবার তাদের কিছুটা খরচ বহন করতে হবে। সরকারের কথায়, বর্তমানে রেশন ডিলাররা প্রতি কেজিতে মাত্র ৯০ পয়সা কমিশন পান, যা বাড়ানোর দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন রেশন ডিলারদের আয় বৃদ্ধি করবে, তেমনি পাশাপাশি সরকারি কোষাগারের ওপর চাপ কমাবে।
কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ?
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের দরিদ্র এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর বড় প্রভাব পড়বে। যারা একমাত্র রেশন ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন বাধ্য হবেন খাদ্যের জন্য অর্থ ব্যয় করতে। এতে তাদের মাসিক খরচ বেড়ে যাবে এবং জীবনযাত্রার মানও প্রভাবিত হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে বহু পরিবার খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।
বিনামূল্যে রেশন নিয়ে সরকারের পরবর্তী পরিকল্পনা
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে, তবে বর্তমান অর্থনৈতিক চাপে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা ভাবছে। এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে প্রতি বছর সরকারের প্রায় ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়, যা অর্থনীতির ওপর বিশাল প্রভাব ফেলছে।
যদিও এই বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে ফ্রি রেশন ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেশন গ্রাহকদের এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দিনে সরকারের নতুন নীতির উপর নির্ভর করবে সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ। এদিকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে রেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। সেই প্রকল্প চললেও দরিদ্রসীমার উপরে থাকা পরিবার এই প্রকল্প থেকে বাদ পড়তে পারে। পরবর্তী আপডেট পেতে ‘বাংলা নিউস দুনিয়া’ ফলো করুন।
আরও পড়ুন:– কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত? রইলো বিস্তারিত
আরও পড়ুন:– Jio Coin বাজারে আনলো আম্বানি। থাকছে একাধিক সুবিধা। কিভাবে কাজ করবে এই কয়েন? জেনে নিন