Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- স্কুলের বাচ্চারা যদি খেলতে খেলতে পাখির মল ঘাঁটাঘাঁটি করে তাহলে কপালে বকুনি জোটে। কিন্তু এখানে তেমনটা হয়নি। বরং হাঁসের মল ঘাঁটাঘাঁটির জন্য বাহবা জুটেছে কপালে। কারণ সেই মল থেকেই মিলেছে এমন একটি উপাদান যা লড়তে পারে ক্যান্সারের সঙ্গে।
আমেরিকার ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে এক মিডল স্কুলের পড়ুয়া হাঁসের মল থেকে এমন এক ব্যাকটেরিয়াম আলাদা করতে সমর্থ হয়েছে যেটির অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ওই ব্যাকটেরিয়াম এমন একটি প্রাকৃতিক কম্পাউন্ড তৈরি করেছে যা বিজ্ঞানীদের কাছে একেবারেই নতুন। আর গবেষণাগারে দেখা গিয়েছে ওই কম্পাউন্ডের মধ্যে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা রয়েছে।
আরো পড়ুন:- চুপিসারে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াল সরকার। ৯ লাখ সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে নোট
শিকাগোয় জেমস আর জর্ডন বয়েস অ্যান্ড গার্লস ক্লাবের কিছু পড়ুয়া কাজ করছিল ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রফেসর ব্রায়ান মার্ফির তত্ত্বাবধানে। একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে ১৪ সপ্তাহের জন্য একটি আউটরিচ প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিল এই পড়ুয়ারা। তাদের বলা হয়েছিল, তাদের এলাকা থেকে এমন জিনিস নিয়ে আসতে হবে যা বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড। সেখানে থেকে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করার কাজও হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে, তার পর বাকি কাজটা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
এক পড়ুয়া হাঁসের মল নিয়ে এসেছিল। সেখান থেকে এক প্রজাতির গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া সিউডোমোনাস ইডাহোনেনসিস (Pseudomonas idahonensis) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছিল সে। গবেষণাগারে দেখা যায়, ওই ব্যাকটেরিয়া একটি বিশেষ ধরনের ত্বক সংক্রমণ সৃষ্টিকারী গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রুখে দিতে পারে। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক গুণাগুণই দেখা যায়নি। ওই ব্যাকটেরিয়া থেকে অরফামাইড এন (Orfamide N) নামে এক প্রাকৃতিক বস্তু পাওয়া গিয়েছে যা, এর আগে বিজ্ঞানীরা জানতেন না। গবেষণাগারে এই অরফামাইড এন (Orfamide N) মেলানোমার বৃদ্ধি এবং ওভারির ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি গতি ধীর করে দিতে পেরেছে।
এখন সারা বিশ্বেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। কারণ এমন ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাচ্ছে যেগুলি বর্তমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা রুখে দিতে সক্ষম। ফলে নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর তার জন্য প্রকৃতির মধ্যে চলছে খোঁজ। গোটা পেপারটি প্রকাশিত হয়েছে ACS Omega জার্নালে। সহ-লেখক হিসেবে নাম রয়েছে ওই পড়ুয়া ক্যামারিয়া উইলিয়ামসের নাম।
আরো পড়ুন:- চাপে পড়ে নতিস্বীকার, সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের, জানতে পড়ুন বিস্তারিত