Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এক বিশাল উপত্যকা। সবুজে ঘেরা প্রকৃতি। সেখানে গেলে চেনা সবুজের মাঝে নজর কাড়ে অচেনা পাত্র। দেখতে অনেকটা ঘড়া বা অতিকায় পাত্রের মতন। যার উপরের অংশ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খোলা।
গোল মুখগুলির ওপর কোনও ঢাকনা সচরাচর দেখা যায়না। তবে কিছু পাত্রে পাথরেরই ঢাকনা রয়েছে। এমন হাজার হাজার পাত্র ছড়িয়ে আছে এলাকা জুড়ে। এই ছড়িয়ে থাকা পাত্ররা চিরদিনই এক রহস্য।
কারণ একটা বিশাল চত্বর জুড়ে সবুজের বুকে এভাবে এখানে ওখানে পড়ে থাকা পাথরের পাত্রগুলি কেন এখানে এল? কারা আনল? কি কাজে লাগত তা পরিস্কার নয়। কিন্তু সেগুলি মাটিতে বসে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
লাওসের জিয়াংহোয়াং মালভূমির গা ধরে নেমে আসা উপত্যকা ও পাথরের পাদদেশে সবুজের বুকে এই পাথর যেমন আজও রহস্য, তেমনই তা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
পাত্রের ভিতরটা ফাঁকা। কালচে পাথরের তৈরি এই পাত্রগুলির আয়তন এক নয়। নানা আকৃতির পাথর রয়েছে। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি ১০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতারও।
কেন এই পাথরের তৈরি অতিকায় সব পাত্র এই এক জায়গায় আনা হয়েছে তা নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও, লাওসের স্থানীয় মানুষের ধারনা এগুলি হল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কলস। তবে তা প্রচলিত ধারনা মাত্র।
ওই পাথরের পাত্র প্রবল ভারীও। কয়েক টন করে ওজন। সেগুলি যে হাতে তোলা যেত, নামানো যেত তেমনটা নয়। তাহলে তা কিভাবে কাজে লাগানো হত সেটাও প্রশ্ন।
একই জায়গায় এত পাথরের প্রায় একইরকম দেখতে পাত্র কেন এভাবে ছড়িয়ে আছে তা আজও এক রহস্যই হয়ে রয়ে গেল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাথরের পাত্রগুলির বয়স ২ হাজার বছর।
আরও পড়ুন:– বড় খবর! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে
আরও পড়ুন:– রাজ্যের অ্যাথলিটদের জন্য ‘কল্পতরু’ মমতা, বিস্তারিত জানুন