Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সইফ আলি খানের বাড়িতে বুধবার মধ্যরাতের তুলকালাম কাণ্ডে স্তম্ভিত বলিউড। কী ভাবে মুম্বইয়ের অভিজাত বান্দ্রা এলাকায়, প্রথমসারির একজন অভিনেতার বাড়িতে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেদ করে ঢুকে পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী? একের পর এক প্রশ্নে বেড়েছে ধোঁয়াশা। বুধবার মধ্যরাতে ৩০ মিনিট ধরে ঠিক কী কী ঘটেছিল ছোটে নবাবের অন্দরমহলে?
সইফ-করিনার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে হামলাকারী জোর করে ঢুকেছিল, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণ এখনও পায়নি পুলিশ। হামলার ঘটনার দু’ঘণ্টা আগেও সিসিটিভি ক্যামেরায় হামলাকারীকে ঢুকতে দেখা যায়নি। চুরির উদ্দেশ্যেই সইফের বাড়িতে ওই আগন্তুক ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক সন্দেহ তদন্তকারীদের। ঘটনার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন সইফ-করিনার ছোট ছেলে জ়েহ-র ন্যানি ইলিয়ামা ফিলিপ।
ন্যানির কথায়, ‘রাত তখন প্রায় ২টো। দেখলাম বাথরুমের দরজা খোলা। আলোও জ্বলছিল। ভাবলাম করিনা কাপুর বাড়ি ফিরেছেন। তার পর বুঝলাম ঘরের ভিতর কিছু গড়বড় হচ্ছে। এদিক-ওদিক চাইতেই হঠাৎ দেখতে পেলাম বাথরুম থেকে বেরিয়ে এক ব্যক্তি জ়েহ-তইমুরের ঘরে ঢুকে পড়ল।’ এর পরই ৫৬ বছরের এই ন্যানি ওই আগন্তুককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আততায়ী তাঁকে আটকে ১ কোটি টাকা দাবি করে। ধস্তাধস্তি শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। সে সময়ে জুনু নামে অন্য এক পরিচারিকা দ্রুত সইফ আলি খানের ঘরে ছুটে গিয়ে তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।
আরও পড়ুন:– লাখ লাখ টাকার লটারির টিকিট কেটেও মিলত না পুরস্কার? বড় চক্র ফাঁস, বিস্তারিত জানুন
সইফ সেখানে পৌঁছতেই তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আততায়ীর। অভিনেতাকে এলোপাথাড়ি ছুরি মারতে শুরু করে। গীতা নামে অন্য এক পরিচারিকা সে সময় হামলাকারীকে ধরে ফেলেন এবং তাকে ওই রুমে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু হামলাকারী সেই ঘর থেকেও পালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় হামলাকারীকে আবাসনের ছ’তলা থেকে পালাতে দেখা গিয়েছে। তবে তারপর আর কোনও হদিশ মেলেনি আততায়ীর। পুলিশের অনুমান,ততক্ষণে সে ফায়ার শ্যাফ্ট ব্যবহার করে গ্রাউন্ড ফ্লোরে পৌঁছে গিয়েছিল। এর পর পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যায়। এই সব ঘটনা ঘটে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে।
তৈমুর ও জ়েহ-র ন্যানি ও বাড়ির পরিচারিকাদের বয়ান শোনার পর পুলিশের অনুমান, পাশের কোনও আবাসন চত্বরের দেওয়াল টপকে সইফের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল আততায়ী। সইফের ফ্ল্যাটের ঢোকা-বেরনোর পথ এবং অন্দরমহলের কোথায় কী রয়েছে, তা সম্পর্ক অবগত ছিল সে। আটক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য জানতে চাইছে মুম্বই পুলিশ।
আরও পড়ুন:– চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী ভারতের দাবি মেনে নিল বাংলাদেশ, বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন:– বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে ‘হোমমেড’ অ্যালার্ম, কিভাবে কাজ করে ?