হোলির আগে কেন ‘ন্যাড়া পোড়া’ করা হয় ? জানুন অজানা কাহিনী

Bangla News Dunia , পল্লব : আগামী ৭ মার্চ দোলপূর্ণিমা, তার আগের সন্ধ্যায় অর্থাৎ ৬ মার্চ ন্যাড়া পোড়া। পশ্চিমবঙ্গে যা ন্যাড়া পোড়া, অনেকটা সেটাই দেশের অন্য প্রান্তে বা অবাঙালিদের কাছে হোলিকা দহন। হোলিকা দহন আসলে অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয়ের উদযাপন। মজার ছড়াও প্রচলিত আছে, ‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।’

আরও পড়ুন : ‘হিন্দু রাষ্ট্রের’ কিনরায় দাঁড়িয়ে ভারত !

ন্যাড়া পোড়ার জন্য শুকনো ডাল, কাঠ, বাঁশ, খড় এবং শুকনো পাতা জোগাড় করা হয়। তারপরে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয় সমস্ত স্তূপাকার করে। দহন অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক। জানেন কি কেন দোলের আগের রাতে মহা ধুমধাম করে ন্যাড়া পোড়া হয় ? রইল অজানা কাহিনী —

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, রাক্ষস রাজ হিরণ্যকশিপু প্রজাদের ভগবানের পুজো করা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। অমরত্ব লাভের জন্য ভগবান ব্রহ্মার তপস্যা করা শুরু করেন। সন্তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি বর প্রদান করেন। ফলে রাক্ষস রাজ নিজেকে অমর মনে করতে শুরু করেন। তাঁর অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে। তাঁর সন্তান প্রহ্লাদ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত। তিনি দিন-রাত বিষ্ণুর আরাধনা করতেন। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন হিরণ্যকশিপু। এর জন্য হিরণ্যকশিপু নিজের বোন হোলিকার কাছে যান।

আরও পড়ুন : আবারও ঘর ওয়াপসি ! অন্য ধর্ম ছেড়ে সনাতন ধর্মে বহু পরিবার

হোলিকা জানান যে তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। আর তাঁর গায়ে ব্রহ্মার দেওয়া চাদর থাকায় তাঁর কিছু হবে না, কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করেন, সেই সময় ওই চাদর হোলিকার গা থেকে খসে প্রহ্লাদের উপর পড়ে। ফলে প্রহ্লাদের কিছু না হলেও পুড়ে ছাই হয়ে যান হোলিকা। আর এই হোলিকার মৃত্যু থেকেই শুরু হয় হোলিকা দহন প্রথা।

সেই মতো আজও দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ার প্রচলন রয়েছে। আর ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা পালন করেন হোলিকা দহন। অশুভ সব কিছুর বিনাশের রীতি প্রচলিত রয়েছে। #End

আরও পড়ুন : Big News : একধাক্কায় লাফিয়ে বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম ! নাভিশ্বাস আমজনতার

আরো পড়ুন : এক্ষুনি রক্তের প্রয়োজন ? সাহায্য করবে এই অ্যাপটি

আরো পড়ুন :- বঙ্গ বিজেপিতে জেলা সভাপতিদের মাথায় বসছে ‘Incharger’রা