Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যের অন্দরে ক্রমেই চাকরিপ্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন একের পর এক উদ্যোগ এবং কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। ঠিক তেমনই বাংলায় ধীরে ধীরে শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একের পর এক কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এই আবহে এবার হাওড়ার সাঁকরাইলে রাবার পার্কে দেড় হাজার কোটি টাকা লগ্নি হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। যার ফলে একধাক্কায় বাড়তে চলেছে বিপুল কর্মসংস্থান।
গত বুধবার ‘অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফ থেকে একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। সেই কনফারেন্সে অন্যতম সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। এই অনুষ্ঠানে তিনি পশ্চিমবঙ্গে রবার শিল্পের নানা পরিকল্পনা এবং অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আর সেই সূত্রে জানা গিয়েছে এবার পশ্চিমবঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থান গড়ে উঠতে চলেছে।
আরও পড়ুন:– লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ এই দুই IT কোম্পানির, কেন এক লাফে এতটা বাড়ল শেয়ার দর ?
রবার শিল্পে এবার বিপুল কর্মসংস্থান
এদিন এই অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, “রাবার পার্কে মোট ১৭১টি প্লট রয়েছে। তার মধ্যে ১৩০টি প্লট বণ্টন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থা রাবার পার্কে তাদের ইউনিট তৈরি করে উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। আরও ছ’টি ইউনিটের নির্মাণ চলছে। আমরা আশা রাখছি যে রাবার পার্কে সব মিলিয়ে ১,৫০০ কোটি টাকার মতো লগ্নি হবে। এর ফলে ১০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।” যা শুনে বেশ খুশী রাজ্যবাসী।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে এই পার্কে যেমন রাবার শিল্প ক্ষেত্রে অনেক ছোট ও মাঝারি কারখানা গড়ে উঠবে, ঠিক তেমনই আবার এতদিন ধরে থাকা কলকাতা ও হাওড়ার ঘিঞ্জি এলাকায় রাবার পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও এখানে তাদের ইউনিট সরিয়ে আনতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক মহলের দাবি এই রাবার শিল্পই পশ্চিমবঙ্গকে গ্লোবাল লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে এক উল্লেখজনক ভূমিকা নেবে। এছাড়াও সাঁকরাইলের রাবার পার্কে একটি বিজনেস সেন্টার, আইটি সেন্টার ও অত্যাধুনিক টেস্টিং ল্যাব থাকবে। এছাড়াও সড়ক নেটওয়ার্ক, যথেষ্ট পার্কিংয়ের সুবিধা, নিরবচ্ছিন্ন জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং একটি কমন ফেসিলিটি সেন্টারও নির্মাণ করা হতে চলেছে।
রফতানি পাল্লা দিয়ে বাড়বে
এছাড়াও মন্ত্রী শশী পাঁজা আরও বলেন যে, “মালদার পার্কে ইতিমধ্যে একটি রবার সংস্থা কাজ শুরু করে দিয়েছে। কল্যাণী শিল্পহাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে দুটি সংস্থা। চলছে বিপুল উৎপাদন। আর এই আবহে সাঁকরাইলে যে রবার পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে, সেটা পুরোদমে কাজ শুরু করে দিলে রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের পথ আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অন্যদিকে প্রশস্ত হবে রফতানির ধারাও।