১৭ বছর পরে ‘মৃত’ ব্যাক্তিকে পাওয়া গেলো জীবন্ত অবস্থায়, জানতে পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

death

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১৭ বছর পরে বেঁচে উঠল ‘মৃত’ ব্যক্তি। যে ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগে চার জনকে জেলও খাটতে হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। যাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল, সেই ব্যক্তিকেই জীবিত অবস্থায় মিলল ১৭ বছর পরে। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি।

এনডিটিভি প্রতিবেদন সূত্রের খবর, যে ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ব্যক্তি বিহার পুলিশের রেকর্ডে মৃত বলে নথিভুক্ত।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে নতুন ভোটার তালিকা। এক ক্লিকে PDF Download করে নিন

কী ভাবে মিলল খোঁজ?

৬ জানুয়ারি, নাকাতল্লাশির সময় এক ব্যক্তিকে দেখতে পায় ঝাঁসি পুলিশ। কোনও কারণে পুলিশকর্মীদের মনে প্রশ্ন জেগেছিল। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি তাঁর নাম বলেন নাথুনি পাল, সঙ্গে জানান তাঁর বয়স বছর পঞ্চাশ। ঝাঁসির কাছে একটি গ্রামে মাস ছয়েক ধরে একাই থাকছেন তিনি। তিনি এও জানান, বিহারের দেওরিয়ায় তাঁর আসল বাড়ি। এরপরে যখন আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন পুলিশকে তিনি জানান ছোটবেলায় তাঁর বাবা-মা মারা গিয়েছেন। বিয়ে করেছিলেন কিন্তু স্ত্রীও তাঁকে বহুদিন আগে ছেড়ে গিয়েছেন। ১৬ বছর ধরে বিহারের বাড়িতে যাননি বলেও জানান। এরপরেই খোঁজ করতে করতে জানা যায় বিহারের পুলিশের রেকর্ডে এই নাথুনি পাল মৃত। তখনই সামনে আসে ২০০৯ সালের একটি মামলার কথা। নাথুনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় নাথুনির মামা একটি মামলা দায়ের করেন নাথুনির কাকা ও ভাইদের বিরুদ্ধে। মামার অভিযোগ ছিল, জমির জন্য নাথুনিকে খুন করে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভিকে অভিযুক্তদের একজন সত্যেন্দ্র পাল জানিয়েছে, তাদের এক ভাই পুলিশে ছিল, কোনওভাবে ব্যবস্থা করে সে তার নিজের নাম FIR থেকে বাদ দেওয়াতে সক্ষম হয়। কিন্তু সত্যেন্দ্র বলেন, ‘আমি, আমার দুই ভাই আর বাবা বাঁচতে পারিনি। সকলেই আট মাস জেলে কাটিয়েছি। এখন জামিনে বাইরে আছি।’ এর মধ্যে সত্যেন্দ্র বাবা মারাও গিয়েছেন। এনডিটিভি প্রতিবেদন সূত্রের খবর, নাথুনি পালের বেঁচে থাকার খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সত্যেন্দ্র। অবশেষে খুনের মতো অভিযোগের হাত থেকে তার পরিবার মুক্তি পাবে বলে আশা তার। এখনও আদালতে ওই মামলা চলছে। নাথুনি পালকে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মাঝে এতগুলো বছর নাথুনি কোথায়, কী ভাবে ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:– ভারতের কব্জায় থাকা নদীর অংশ দখলমুক্ত করলো বাংলাদেশ, জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন:– কলেজে পড়ুয়াদের ৩০ হাজার টাকা স্কলারশিপ দিচ্ছে HDFC ব্যাংক, কিভাবে আবেদন করবেন? দেখে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন