১৯ বছর পরে মা ও শিশু খুনে গ্রেপ্তার ২, সৌজন্যে AI,

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এক মা ও তার দুই কন্যা সন্তানের নৃশংস খুন। ১৯ বছর আগে কেরালার কোল্লামে ঘটেছিল এই ভয়ঙ্কর অপরাধ। অবশেষে তারই কিনারা হলো। ২০২৫ সালে ধরা পড়ল ২ অপরাধী। কেরল পুলিশ জানিয়েছে, এআই প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পুদুচেরি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ অভিযুক্তকে। ওই ২ জন প্রাক্তন সেনাকর্মী। তারা আদতে কেরালার বাসিন্দা এবং পাঠানকোটে পোস্টেড ছিল, খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম দিভিল কুমার এবং রাজেশ। দিভিল এখন বিষ্ণু ছদ্মনাম নিয়ে এবং রাজেশ এখন প্রবীণ কুমার ছদ্মনাম নিয়ে লুকিয়ে ছিল।

কী ঘটেছিল ১৯ বছর আগে?

২০০৬ সাল, কেরালার কোল্লাম। রঞ্জিনী এবং দিভিল একই এলাকায় বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যেই রঞ্জিনী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন রঞ্জিনী, সেই কারণেই দিভিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরই মধ্যে সেই সময় সেনায় কর্মরত দিভিল পাঠানকোটের আর্মি পোস্টে চলে যায়। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তিরুবনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে ২ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রঞ্জিনী। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, এরই মধ্যে রঞ্জিনী এবং তাঁর ২ শিশু সন্তানকে খুনের ছক কষে দিভিল। এই কাজে সে সঙ্গী করে তারই সহকর্মী রাজেশকে। এই রাজেশ অনিল কুমার পরিচয় নিয়ে রঞ্জিনীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কোল্লাম আসে তারা। সেই সময়েই রঞ্জিনী ও ২ শিশুসন্তানকে খুন করা হয়। ঘটনার দিন, রঞ্জিনীর মা পঞ্চায়েতে ২ শিশুর জন্ম শংসাপত্র নিতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে মেয়ে ও দুই নাতনিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২ অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের ধরার আগেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তারপরে প্রায় দুই দশক ধরে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালের ৪ জানুয়ারি ওই দুই অভিযুক্তকে পুদুচেরি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেখানে অন্য পরিচয়ে ইন্টিরিয়র ডিজ়াইনার হিসেবে কাজ করছিল তারা। ২ জনেই স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়েও করেছে ইতিমধ্যে।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে নতুন ভোটার তালিকা। এক ক্লিকে PDF Download করে নিন

কী ভাবে মিলল অভিযুক্তের খোঁজ?

কেরালার এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ আব্রাহাম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের পুরনো ছবি হাতে পাওয়ার পরে এআই ব্যবহার করে পুলিশ। সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়লে কেমন দেখতে লাগবে ২ অভিযুক্তকে? সেটাই খুঁজতে থাকে পুিলশ। মুখমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য, চুলের রূপবদলের বিষয়টিও এআই-এর সাহায্যে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এরপর এআই দিয়ে যে যে ছবি তৈরি হয়েছিল, সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে থাকা ছবির ডেটাবেসের সঙ্গে মেলানো শুরু হয়। একটি এআই ইমেজের সঙ্গে প্রায় ৯০ শতাংশ মিলে যায় ফেসবুকে থাকা একটি বিয়ের ফটো। সেই ছবির সূত্র ধরে পুদুচেরিতে রাজেশের খোঁজ পায় পুলিশ। তার পরে রাজেশের থেকে খোঁজ মেলে দিভিলের। কেরালার এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ আব্রাহাম জানিয়েছেন, যেহেতু এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে ছিল, সেই কারণেই তাদের চেন্নাই ইউনিটকে জানানো হয়, তারাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন:– ভারতের কব্জায় থাকা নদীর অংশ দখলমুক্ত করলো বাংলাদেশ, জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন:– কলেজে পড়ুয়াদের ৩০ হাজার টাকা স্কলারশিপ দিচ্ছে HDFC ব্যাংক, কিভাবে আবেদন করবেন? দেখে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন