Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে জয়েন্ট ট্যাক্সেশনের চালুর প্রস্তাব এল ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অফ ইন্ডিয়া (আইসিএআই)-এর তরফে। বিবাহিত যুগলদের জন্য যৌথভাবে আয়কর জমার এই পদ্ধতি চালু রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই ব্যবস্থা ভারতেও চালু করার অনুরোধ জানিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান। এই পদ্ধতিতে বিবাহিত যুগলদের আয় সিঙ্গেল ট্যাক্সেবল ইউনিট হিসাবে ধরা হয়। এবং দু’জনের আয়ের উপর মিলিত ভাবে ট্যাক্স ফাইল করা যায়।
আইসিএআই-এর জয়েন্ট ট্যাক্সেশনের বিষয়ে ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ এসআর পট্টনায়েক বলেছেন, ‘জয়েন্ট ট্যাক্সেশন খুবই উপযোগী পদক্ষেপ। সরকার সময় নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে তা চালু করতে পারে। এতে অনেকেই উপকৃত হবে। আসন্ন বাজেটেই তা হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।’ এ বিষয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট সুরেশ সুরানা বলেছেন, ‘জয়েন্ট ট্যাক্সেশন স্কিমে ভারতের মতো দেশে খুবই কার্যকরী হতে পারে। এর জেরে ট্যাক্স বার্ডেনও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সিঙ্গল আর্নিং মেম্বারদের ক্ষেত্রে।’
জয়েন্ট ট্যাক্সেশনের জন্য প্রস্তাবিত ট্যাক্স স্ল্যাব:
৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত: আয়কর লাগবে না।
৬ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা: ৫ শতাংশ আয়কর
১৪ থেকে ২০ লক্ষ টাকা: ১০ শতাংশ আয়কর
২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা: ১৫ শতাংশ আয়কর
২৪ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা: ২০ শতাংশ আয়কর
৩০ লক্ষ টাকার বেশি: ৩০ শতাংশ আয়কর।
কী ভাবে কাজ করে জয়েন্ট ট্যাক্সেশন পদ্ধতি?
বর্তমানে ভারতে এই পদ্ধতি চালু নেই। তাই কোনও দম্পতি যদি দু’জনেই রোজগার করেন, তাহলে আলাদা করেই তাঁদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হয়। কিন্তু যৌথ ভাবে কর জমার পদ্ধতি চালু হলে, স্বামী-স্ত্রী নিজেদের আয়কে একত্রিত করে আয়কর জমা করতে পারবেন। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোঝা আরও সহজ হবে।
ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি বছরে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার করেন। তাঁর স্ত্রীর বছরে রোজগার বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা। বর্তমান নিউ রেজ়িমের ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী, স্বামীকে ১৫ শতাংশ আয়কর জমা দিতে হবে। স্ত্রীকে কোনও আয়কর দিতে হবে না। বর্তমান ব্যবস্থা অনুযায়ী, স্বামী ও স্ত্রীকে আলাদা করে আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে। কিন্তু জয়েন্ট ট্যাক্সেশন চালু হলে ওই যুগল এক সঙ্গে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের মোট আয় হচ্ছে ১২+১.৫=১৩.৫ লক্ষ টাকা। প্রস্তাবিত ট্যাক্স স্ল্যাবে এ ক্ষেত্রে দম্পতির মোট রোজগারের উপরে ৫ শতাংশ আয়কর দিলেই চলবে। অর্থাৎ স্বামীকে এত দিন যে পরিমাণ আয়কর দিতে হচ্ছিল, তা অনেকটাই বেঁচে যাবে।