২৫০০০ এর বেতনেও জমাতে পারেন ১ কোটি, রইল পথের হদিশ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কেরিয়ারের শুরুতে ছোটখাটো চাকরি। সামান্য বেতন। কিন্তু স্বপ্ন রয়েছে বড় তহবিল তৈরির। করা যাবে? আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলেও, অঙ্ক বলছে সম্ভব। তবে মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট রুটিন।

দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জমিয়ে গেলে বড় তহবিল তৈরি গড়া সম্ভব। যে অঙ্কের টাকা জমানোর লক্ষ্য নেওয়া হবে, সেই লক্ষ্য মেনে নিয়মিত জমিয়ে গেলে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে কোথায় বিনিয়োগ করলে আশা অনুযায়ী ফল মিলবে।

ইক্যুইটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে তার রিটার্ন ডেট ইনস্ট্রুমেন্টের তুলনায় বেশি হয়। অর্থাৎ ইক্যুইটি খাতের তুলনায় ডেট খাতে রিটার্ন বেশি। কিন্তু এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, ইক্যুইটি খাতে বিনিয়োগে ঝুঁকির মাত্রাও বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ১ কোটি টাকা অঙ্কের তহবিল তৈরি করতে হয়, তাহলে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে। এক্ষেত্রে এসআইপি (SIP) চেনা রাস্তা হতে পারে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট ফান্ডে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমাতে হবে এই পদ্ধতিতে। অল্প অঙ্কের টাকা জমালেও দীর্ঘমেয়াদে জমতে পারে মোটা তহবিল। কম্পাউন্ডিং এবং রুপি-কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের কারণে ঘরে তুলতে পারেন মোটা লাভ।

মাসে ২৫ হাজার বেতনে ১ কোটির তহবিল:

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি মাসে কোনও ব্যক্তির ২৫ হাজার টাকা বেতন হয় সেক্ষেত্রে বেতনের ১৫-২০ শতাংশ টাকা প্রতি মাসে SIP-এর মাধ্যমে জমাতে পারেন। এখানে অঙ্কের মাধ্যমে একটি সম্ভাব্য হিসেব করা যেতে পারে।

যদি কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে জমাতে থাকেন এবং সেই ফান্ডে বছরে ১২ শতাংশ রিটার্ন আসে, তাহলে মোটের উপর ২৮ বছর সময় লাগবে ১ কোটি টাকার তহবিল তৈরি হতে। এক্ষেত্রে কিন্তু এই গোটা সময় ধরে প্রতি মাসে জমিয়ে যেতে হবে। জমানোর অঙ্ক যদি মাসে ৫০০০ টাকা করা হয়, তাহলে বাকি সব হিসেব এক থাকলে ১ কোটির তহবিল জমাতে সময় লাগবে ২৬ বছরের সামান্য বেশি। প্রতি মাসে এসআইপি-র অঙ্ক যদি ৭৫০০ টাকা করা হয়, তাহলে সময় লাগবে ২৩ বছরের মতো। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের ৩০ শতাংশ হলো ৭৫০০ টাকা। যেহেতু এক ব্যক্তির জীবনধারণের জন্য অন্য খরচও প্রয়োজন, সেই কারণেই বেতনের ৩০ শতাংশের বেশি জমানো বাস্তবে সম্ভব নাও হতে পারে।

যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এক বেতন থাকে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেতন বাড়তে পারে, সেই কারণেই এখানে হিসেবে আসতে পারে স্টেপ আপ এসআইপি (step-up SIP)। এর অর্থ, সময়ে সময়ে SIP-এর অঙ্ক বৃদ্ধি করা। অর্থাৎ প্রথম বছরে যদি ৫০০০ টাকা করে SIP করা হয়, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকে পরের বছরে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫২৫০ টাকা করে SIP করা যায়। এ ভাবে ১ বা ২ বছর অন্তর ধীরে ধীরে লগ্নির অঙ্ক বাড়িয়ে গেলে আরও দ্রুত ১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব।

ইক্যুইটি মার্কেটে চড়াই-উতরাই আসতে পারে। শেয়ার বাজারে নানা সময় ঘাত-প্রতিঘাত আসে। সেগুলো উপেক্ষা করে দীর্ঘমেয়াদে টানা বিনিয়োগ করে গেলে মোটা তহবিল জমানো সম্ভব বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা।

(বাংলা নিউস দুনিয়া কোথাও বিনিয়োগের জন্য পরামর্শ দেয় না। শেয়ার বাজার বা যে কোনও ক্ষেত্রে লগ্নি ও বিনিয়োগ ঝুঁকিসাপেক্ষ। তার আগে ঠিকমতো পড়াশোনা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়। এই খবরটি শিক্ষা সংক্রান্ত এবং সচেতন করার জন্য প্রকাশিত।)

আরও পড়ুন:– কার্তিক মহারাজকে কেন পদ্ম সম্মান? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

আরও পড়ুন:– দশ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে সরকারি বাসে চালক-কন্ডাক্টর পদে নিয়োগ, সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন