Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আরজি কর কাণ্ডের পর বাংলার উপনির্বাচনে বিরোধীদের ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে ‘মিশন ২০২৬’। চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্বাসী জবাব, ২০২৬ সালে অবশ্যই তাঁরা রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছেন। মানুষ যে তাঁদের উপর ফের আস্থা রাখবেন সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে সম্প্রতি বাংলার উপনির্বাচনে তৃণমূলের ছ’টি আসনে জয়ের প্রসঙ্গ। সঞ্চালক বলেন, ‘বিরোধীদের যা অবস্থা দেখছি, এ বারেও হয়তো আপনারাই আসবেন!’ মমতার উত্তর, ‘হয়তো-টয়তো নয়। মানুষের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আমরাই আসব এটা আমি বিশ্বাস করি।’
আরো পড়ুন:- ব্রেন তীক্ষ্ণ রাখতে চান? এই ব্যায়ামগুলিতে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে- বুদ্ধি বাড়বে মস্তিষ্কের
আরো পড়ুন:- চাপে পড়ে নতিস্বীকার, সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের, জানতে পড়ুন বিস্তারিত
প্রায় দু’মাস ধরে চলা ‘আরজি কর আন্দোলনে’র প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে, এমনটাই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অথচ, আন্দোলনের সিকি ভাগ প্রভাবও পড়েনি নির্বাচনে। সে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমার মানুষের উপর আস্থা-ভরসা আছে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ আমাদের কাজগুলোকে গ্রহণ করেছেন। তাই মানুষ আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন।’ এমনকী, আরজি কর আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল বলেও দ্বর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রথমে বুঝতে পারিনি। তবে এটা রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল। তবে, সেটাও তাঁরা করতে পারেন। মানুষের রাজনৈতিক আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে।’
বাংলার রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে। সঞ্চালকের প্রশ্নে সেই বিষয়টিও খোলসা করে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কে উত্তরসূরি হবে, সেটা দল ঠিক করবে। দলে তো শুধু আমি একা নেই। মানুষকে ছাড়া দল হয় না। দল মানুষ ছাড়া হয় না। সবাই মিলে ঠিক করবে।’
সম্প্রতি দলের কর্মসমিতির বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে একাধিক শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। মমতা বলেন, ‘এরকম কমিটি আমাদের দলে আগেও ছিল। শৃঙ্খলারক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পার্টির নির্দেশ মেনে সকলকেই চলতে হবে। কারও কিছু বলার থাকলে সেটা দলের অভ্যন্তরে বলতে পারেন।’ ১৩ বছরের ক্ষমতাসীন পর্বে দলের রাজনৈতিক গ্রাফ সব থেকে নিম্নমুখী হয়েছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। সেই সময়ে ভোটকুশলীকে নিয়োগ করা হয়। সেই ভোটকুশলী নিজে দল করে নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন। এই বিষয়ে মমতার মন্তব্য, ‘ভাবল কী করে মানুষ ভোট দেবে? ভোট আলাদা, সার্ভে আলাদা।’
অনুষ্ঠানের শেষে সঞ্চালকের প্রশ্ন, ‘ফের কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা?’, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যতদিন বাঁচব, কাজ করে যাব। সব কাজই আমার কাছে প্রিয়।’